গ্রামীণ নারীদের সংরক্ষণ ও যত্নে আজও ঠিকে আছে অচাষকৃত খাদ্য

নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
বারসিক নেত্রকোনা অঞ্চলের উদ্যোগে গতকাল ১৫ জুলাই বিকাল তিনটায় ‘অচাষকৃত খাদ্য, গ্রামীণ নারী ও পুষ্টি নিরাপত্তা’ বিষয়ক অনলাইন সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নেত্রকোনা অঞ্চলের পুষ্টিবাড়ির প্রতিনিধি, যুবক ও কিশোরী সংগঠনের সদস্য ও বারসিক নেত্রকোনা অঞ্চলের সকল ষ্টাফ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন কর্মী অর্পনা ঘাগ্রা।
অর্পণা ঘাগ্রা বলেন, ‘অচাষকৃত খাদ্য সম্পদ আমাদের গ্রামীণ নারীর চর্চায়, সংরক্ষণে যত্নে আজও ঠিকে আছে। গ্রামীণ নারী নদী, নালা, খানাখন্দ পেরিয়ে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য অচাষকৃত খাদ্য সংগ্রহ করেন। তবে বর্তমানে প্রাকৃতিক খাবারের উৎসগুলো দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারণ নদী, নালা, খাল, বিল, ডোবা, পুকুর, নদীর পাড় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। রাসায়নিক কৃষির ফলে এসব খাদ্যকে আগাছা মনে করে ধ্বংস করা হচ্ছে।’


অংশগ্রহণকারী পুষ্টিবাড়ির প্রতিনিধি রোজি আক্তার বলেন, ‘আমরা বাড়ির আশপাশ থেকে এসব খাদ্য কুড়িয়ে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করি। আমরা সারাবছ্রই এসব খাবার খাই। তামান্না আক্তার বলেন, ‘বিষমুক্ত এসব খাদ্য এখন আর গরিবের খাবার না। শহরের ধনী মানুষেরাও এ খাবার কিনে খায়।’ মতি ঘার্গ্রা বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় অনেক প্রাকৃতিক খাবার ছিলো কিন্তু এখন এসব খাবার আর পাওযা যায় না।’

আমাদের সকলের উচিত এসব খাদ্য সস্পদকে রক্ষা করা। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করা জরুরি। প্রতিটি খাদ্যই ঔষধি গুণ রয়েছে। আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অচাষকৃত খাদ্যকে সংরক্ষণ করতে হবে।


অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ^াস।

happy wheels 2

Comments