জেন্ডার বৈষম্য পরিহার করি সংবেদনশীল সমাজ গড়ি
মানিকগঞ্জ থেকে ঋতু রবি দাস
‘নারী পুরুষে বৈষম্য হ্রাস করি, জেন্ডার সংবেদনশীল সমাজ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সম্প্রতি মানিকগঞ্জে জেন্ডার, বৈচিত্র্য ও বহুত্ববাদী সমাজ বিষয়ক যুব কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজাপতি কিশোরী ক্লাব এর আয়োজনে এবং বারসিক’র সহযোগিতায় মানিকগঞ্জ শহরস্থ নয়াকান্দি গ্রামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সহায়ক হিসেবে ছিলেন বারসিক প্রকল্প কর্মকর্তা কমল চন্দ্র দত্ত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারসিক প্রকল্প কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, ইউথ ফেসিলিটেটর রুমা আক্তার এবং প্রকল্প সহায়ক ঋতু রবি দাস। কর্মশালার শুরুতেই সহায়ক উপস্থিত সকলের মাঝে জেন্ডার বিষয়ে কথা বলেন এবং ধারণা দেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ সবাই একই থাকে জন্মের পর পরিবার, সমাজ তাদের জেন্ডার নির্ধারণ করে দেয়। পরিবার থেকেই আমরা জেন্ডার বৈষম্যের শিকার হই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করলে পরিবার, সমাজ থেকে এই বৈষম্যগুলো দূর করতে পারি।
কমল চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ পৃথিবী দরকার। আমরা সব কিছুতেই বৈচিত্র্যতা দেখতে পাই। গাছপালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সৃষ্টি এবং সামাজিক সৃষ্টিতেও বৈচিত্র্যতা দেখতে পাই।’ তিনি বহুত্ববাদীতা আলোচনা করে বলেন, ‘জন্মগত থেকেই মানুষ মানুষের ওপর নির্ভরশীল এবং নির্ভরশীলতাই বহুত্ববাদী সমাজের উদাহরণ। সমাজে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের বসবাস। সমাজে যদি বিভিন্ন পেশাজীবী না থাকতেন তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারতাম না। ভিন্নতা আছে বলেই আমাদের অস্তিত্ব আছে তা না হলে আমরা বাঁচতে পারতাম না।’
প্রজাপতি কিশোরী ক্লাব এর সভাপতি সায়মা আক্তার বলেন, ‘এমন প্রশিক্ষণ আমরা কখনও পাইনি। তাই বারসিক‘কে’ ধন্যবাদ। আমরা এগুলো সম্পর্কে জানতাম না।’ রাজেদা বলেন, ‘আমাদের এমন প্রশিক্ষণ মাঝে মাঝে করানো উচিত, এতে আমরা অনেক উপকৃত হব।’