হিজল গাছে পাখি থাকবে, কৃষি ফসল ভালো হবে
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে সত্যরঞ্জন সাহা
মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে স্থানীয় কৃষক সংগঠনের সদস্য, কৃষক-কৃষাণি, স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য ও বারসিক এর যৌথ উদ্যোগে মাঠে হিজলের চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আন্ধারমানিক স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যগণ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে হলতা নদীর পাড় ও আন্ধারমানিক খালপড় থেকে ১৫টি হিজলের চারা সংগ্রহ করা হয়।
আন্ধারমানিক অগ্রগামী কৃষক সংগঠনের সদস্যগণ হরিরামপুর উপজেলা বন বিভাগের নার্সারি থেকে কদবেল, জলপাই, পেয়ারা, জাম, অর্জুন ও বহেরার ১২০টি চারা সংগ্রহ করেন। সংগ্রহকৃত হিজলের চারা কৃষকগণ আন্ধারমানিক চকে রোপণ করেন। এই প্রসঙ্গে কৃষক মতিউর রহমান বলেন, “বন্যার পানি হলে হিজলের চারা রাস্তার পাশে, খাল ও হলতা নদীর পাড়ে রাস্তায় হিজলের চারা হয়। যে হিজলগাছগুলো বড় হয়, সেগুলো থেকে ফুল ফল হয়। ফুল ফল খালে ও নদীর পানিতে পড়ে। হিজলের ফুল ও ফল মাছের খাবার।” তিনি আরও বলেন, “তবে হিজল গাছকে এলাকার লোকজন আগাছা বলেন, ফলে সংরক্ষণ কম হয়। বড় গাছগুলোর ফুল ফল বন্যার পানিতে ভেসে বিভিন্ন জায়গায় ফল পড়ে গাছ হয়। আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে চকে-পাথারে হিজলের গাছের চারা রোপণ করার উদ্যোগ এলাকার লোকজনকে যুক্ত করে এ কাজকে সম্প্রসারণ করা হয়। চকে হিজল গাছ থাকলে মাছের খাবার সহজ হবে। হিজল গাছে পাখি থাকবে, কৃষি ফসল ভালো হবে। কৃষির উন্নয়নের ও প্রাণির খাবারে জন্য চকে চকে হিজল গাছ থাকা একান্ত প্রয়োজন।”
হিজল ছাড়াও অন্যান্য ফলজ, ঔষধি চারা রোপণ ও খেজুর বীজ বপনে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার যুবদের উদ্যোগে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় দুই মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এলাকার মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে খেজুর বীজ ও ফলজ, বনজ, ঔষুধি গাছের চাহিদার উপর ভিক্তি করে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মানিকগঞ্জ জেলার বৃক্ষ রোপণ কর্মসুচীর শুরুতেই গত ৬ জুন হরিরামপুরের বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে ১২০টি ফলজ ও ঔষধি (কদবেল, জলপাই, পেয়ারা, জাম, অর্জুন, বহেরা) চারা রোপণ করা হয়। আন্ধারমানিক অগ্রগামী কৃষক সংগঠনের সদস্যগণ হরিরামপুর উপজেলা বন বিভাগের নার্সারি থেকে সংগ্রহ করেন।
বারসিক হরিরামপুর রিসোর্স সেন্টারের সদস্যগণ জনসংগঠনের সদস্যদেরকে উপজেলা বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন। পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় চারা রোপণ কার্যক্রমে উদ্যোগ সৃষ্টিতে আলোচনা করেন। আালোচনায় অংশ নেন কৌড়ি এমএ রউফ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আরশেদ আলী ও বারসিক’র বিমল রায় সত্যরঞ্জন সাহা ও মুকতার হোসেন।