অচাষকৃত খাদ্যের শিক্ষক প্রবীণ রোকেয়া আক্তার
নেত্রকোনা থেকে রুখসানা রুমি
রোকেয়ার বয়স ৬১। গ্রামের সাধারণ কৃষকের মেয়ে রোকেয়া। কুড়িয়ে পাওয়া খাদ্য নিয়ে তার আগ্রহের শেষ নেই। ছোটকাল থেকেই এসব খাদ্য খেয়ে আসছে। পরিবারে নিয়মিত এই খাদ্যের ব্যবহার করে জীবন চালিয়ে, সংগ্রহ করে চলেছেন এই নারী।
সম্প্রতি নেত্রকোনা সদর উপজেলায় সাজিউড়া মফিলা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির হন ২১টি অচাষকৃত উদ্ভিদ নিয়ে এই প্রকৃতির শিক্ষক রোকেয়া। তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে একে একে পরিচিত করে দেন অচাষকৃত, পুষ্টিকর, বিষমুক্ত এসব খাদ্যের নাম। তিনি এসব খাদ্যের গুনাগুনা বিষয়ে বি¯তারিত আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীরা হেলেচ্ছা, কলমী, দলকলস, হিজঘাডু, কাটাপুড়িয়া, আপন, থানকুনি, খেতাবুড়ি, হেইচা, সাজনা, কচু, গিমাই, পালই, বউটুনি, আতিচুর পাতা, তেলাকুচা, পাহাড়ীলতা, সুরমা, কচু পাতা, ঢেকিশাক, খুড়িয়া, আলু পাতা, কেউরালির নাম শুনে অবাক হয়। দিনে দিনে এসব মূল্যবান খাদ্যসম্পদ আগাছা মনে করে, বিষ দিয়ে হত্যাকরা হচ্ছে। নেত্রকোনা জেলায় নেত্রকোনা সদর উপজেলায় সাজিউড়া মফিলা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয় ২১টিঅচাষকৃত উদ্ভিদের সাথে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা পরিচিতি হয় এবং এর গুনাগুন সর্ম্পকে জানতে পারে। এই প্রসঙ্গে প্রবীণ রোকিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার মা চাচীরা সেগুলো রান্না করে খাওয়াছে। এর কারণে আমার অসুখ বিমুখ কম হয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক সাফায়েত আহমেদ, সহকারী শিক্ষক রজন কুমার ভদ্র প্রত্যেক অচাষকৃত উদ্ভিদ পরিচিতি করায় ও পুষ্টি ও গুনাগুণ নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচকরা বলেন, ‘আমাদের অজান্তেই আমরা মুল্যবান এসব খাদ্যকে ধ্বংস করে চলেছি। আমাদের প্রয়োজনেই কুড়িয়ে পাওয়া খাদ্যগুলোকে বাঁচাতে হবে।’