বৃক্ষরোপণ করি, বাসযোগ্য আবাস গড়ি
মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদা আক্তার
‘বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধার’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দূর্বার তারুণ্য সংগঠনের আয়োজনে এবং বারসিক ও ধূমকেতু’র সহযোগিতায় সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মসূচিটি পালন করা হয়।
বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে বিশ^ পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ডেইলি স্টারের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বিশ^াস, ধূমকেতু’র সভাপতি মাহবুব আলম রাসেল, দৈনিক আমার নিউজ এর সম্পাদক ও প্রকাশক আকরাম হোসেন, তারুণ্য শিক্ষার্থী সংগঠনের সভাপকি মো: শরিফ হোসেন, বারসিক’র রাশেদা আক্তার, কৃষাণী লাইলী বেগম প্রমুখ।
বিশিষ্ট পরিবেশবাদী এ্যাড: দীপক কুমার ঘোষ এর সভাপতিত্বে আলোচনার শুরুতেই বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায় দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের শুধু মানুষের কথা ভাবলে চলবে না। প্রাণ-প্রকৃতির কথাও ভাবতে হবে। পাখির কথা ভাবতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে ইউক্যালিপ্টাস, একাশি গাছ রোপণ থেকে আমরা বিরত থাকব। পাখি বসে, পাখি বাসা বাঁধে পাখি ফল খায় এমন গাছ আমাদের রোপণ করতে হবে। আমরা নদী রক্ষায় ধলেশ^রী নদী খননের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। নদী খননের কাজ শুরু করেছে। আজ পরিবেশ দিবসের মধ্য দিয়ে আমরা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ সচল রাখারও দাবি জানাচ্ছি। পরিবেশ ভালো রাখতে হলে নদী, গাছ-পালা, প্রকৃতি সবই রক্ষা করতে হবে।’ ডেইলী স্টার মানিকগঞ্জ এর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বিশ^াস বলেন, ‘পরিবেশ ভালো রাখার জন্য বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। বারসিককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য। এখানে দেশীয় ফলের ও ঔষধি গাছ আনা হয়েছে রোপণের জন্য দেখে ভালো লাগলো। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
আলোচনায় বক্তারা আগ্রাসী গাছ কে ‘না’ বলেন। তারা বলেন, ‘দেশীয় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করতে হবে। পাখির কথা ভাবতে হবে। পাখির উপযোগি গাছ রোপণ করতে হবে। বট, পাকড় বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। বটগাছ অনেক অক্সিজেন ছাড়ে, অনেক পাখি বট গাছে বাসা বাঁধে। বট গাছের ফল পাখি খায়। যেসব গাছে পাখি বেশি বাসা বাঁধে সেসব গাছ আমাদের বেশি রোপণ করতে হবে। ঔষধি গাছ কমে যাচ্ছে। ঔষধি গাছ রোপণ করতে হবে। নদী রক্ষা করতে হবে। নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। পলিথিন বর্জন করতে হবে। পলিথিন পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। নিজেদের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পরিবেশ ভালো রাখতে হবে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে।
আলোচনা শেষে সকলের অংশগ্রহণে (৫০টি পেয়ারা, জাম, চালতা, কদবেল, হরতকি,জলপাই) বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ করা হয়।