আমাদের বাড়িকেই বীজবাড়ি হিসেবে গড়ে তুলবো

ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার, শ্যাময়েল হাসদা ও আলপনা সরকার
বাজার নির্ভরশীলতা কমানো এবং স্থানীয় জাতের বীজ বাড়িতে রাখা ও জমিতে চাষ বৃদ্ধি করা এই উদ্দেশ্যে সামনে রেখে সম্প্রতি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের জয়নগর-মান্তার গ্রামের কৃষক-কৃষাণীদের আয়োজনে এবং বারসিক’র সহযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের দেশীয় জাতের ফসল, সবজি, ফলদ উদ্ভিদের বীজ নিয়ে বীজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মেলায় উপস্থিত ছিলেন বারসিক ঘিওর অঞ্চলের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা সুবীর কুমার সরকার, শ্যাময়েল হাসদা, আলপনা রানী সরকার ও মান্তা-জয়নগর গ্রামের কৃষক-কৃষাণী প্রমূখ। মেলায় ৪৫ জন কৃষাণী বীজ প্রদর্শণে অংশগ্রহন করেন। স্বপ্না আক্তার সর্বোচ্চ ৫৮ ধরনের বীজ প্রদর্শন করেন।


কৃষাণী বিউটি আক্তারের সভাপতিত্বে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘বীজ সংরক্ষনের সুবিধা হলো বীজ বাজার থেকে কিনতে হয় না। ফলে টাকা লাগে না। একটা ভালো বীজের জীবনচক্রের মাধ্যমে কৃষকের পরিবারে স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। দেশী জাতের বীজে পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হয়।’ তারা আরও বলেন, ‘ দেশীয় বীজে আমরা আমাদের ইচ্ছামতো চাষ করতে পারি এবং আমরা আমাদের প্রতিবেশিদের সাথে বীজ বিনিময় করতে পারি। যার ফলে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নতি হবে। আমরা আমাদের বাড়িকেই বীজ বাড়ি করে গড়ে তুলবো।


মেলায় বক্তারা আরও বলেন, ‘কৃষকের শক্তি হলো বীজ। এই শক্তি কোম্পানি দ্বারা হরণ যেন না হয় তার জন্য বাড়িতে বীজ সংরক্ষণের চর্চা করতে হবে। আমাদের মান্তা, জয়নগর, বেগমনগর, বরুণা, কুন্দুরিয়া-হেলাচিয়ার বিশাল জমিতে এখনও পরিবেশবান্ধব উপায়ে চাষবাস হয়। স্থানীয় জাতের বীজে চাষ হয়। তারা আমন জাতের ধান, মাশকালাই, গম, মটর, তিল, খেশারী, পাট, ধৈঞ্চা, চৈতা সরিষা চাষ করেন। এসব বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের কৃষিকে বাঁচাতে হবে।’

happy wheels 2

Comments