‘নিরক্ষর থাকবোনা, দেশের বোঝা হবোনা’
রাজশাহী শহিদুল ইসলাম শহিদ
‘নিরক্ষর থাকবোনা, দেশের বোঝা হবোনা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষরতা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। স্বপ্নচারী উন্নয়ন সংগঠন ও বারসিক’র আয়োজনে রাজশাহী তানোর উপজেলার গোকুল পুরাতন দাখিল মাদ্রাসায় উদ্বোধন ও আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ উদ্যোগে গ্রামের নিরক্ষর মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে তালিকাভূক্ত করে।
তাদের তথ্য মতে, ৬২৫ পরিবারে ২০০ জন নিরক্ষর মানুষ রয়েছে। সংগঠনের যুবকরা দুই বছর আগে ১৫ জন নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা প্রদানের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক উদ্যোগ নেয়। উক্ত দলকে নিরক্ষরমুক্ত করতে পেরে তাদের মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার সাহস তৈরি হয়। সেই আলোকে ২০ জন নিরক্ষর নারীদের নিয়ে একটি দল তৈরি করে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সহ সভাপতি শাফিউল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষিত মা হলে জাতিকে শিক্ষিত করা যায়, মা শিক্ষিত না হলে নিরক্ষরতা বাড়তে থাকে। তাই আমরা নারীদের আগে নিরক্ষরমুক্ত করতে চাই।” কেদ্রটি পরিচালনা সম্পর্কে বলেন, “উক্ত কেন্দ্রটি সংগঠনের দুইজন নারী সদস্য মোসা. রাখী ও আশামণি সহায়কের ভূমিকা পালন করবেন। অংশগ্রহণকারীদের মতামতের আলোকে সময় নির্ধারণ ও পরিবর্তন করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “শুধু অক্ষর জ্ঞান নয়, মাঝে মধ্যে স্বাস্থ্যসেবীদের সহায়তায় নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়েও আলোচনা করা হবে উক্ত কেন্দ্রে।”
উপস্থিত বক্তাগণ বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিরক্ষর দূরীকরণের কোন বিকল্প নেই। আমরা সকলে শিক্ষিত। হয়তো আমাদের মাঝে কারো কারো অক্ষর জ্ঞান নেই। সেটা যে কোন বয়সেও অর্জন করা যায়। কারণ শিক্ষার কোন বয়স নেই।” সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের এই মহৎ উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করার আস্বাস প্রদান করেন। এ ধরনের উদ্যোগ প্রত্যেক গ্রামে গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
ডা. মো. অসিমুদ্দিনের সভাতিত্বে সাক্ষরতা উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায় সমাজ সেবক লবর উদ্দিন, উদ্যোগী কৃষক শ্রী. জিতেন্দ্রনাথ সুত্রধর, স্বপ্নচারীসহ সভাপতি শাফিউল ইসলাম ও বারসিক সহযোগি কর্মসূচি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম শহিদসহ গ্রামের নারীরা উপস্থিত ছিলেন।