আজ খুলছে সুন্দরবনের পাশ, খুশিতে উপকূল
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে গাজী আল ইমরান
বুলবুলের ঘা এখনও দগদগে। এর মধ্যে জেকে বসেছে মহামারী করোনা। দিন আনে দিন খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর নিয়তির জন্য জোর করে হাত পা বেঁধে বন্দী করেছে ঘরের কোনে। দারিদ্রতা ও অভাবে চরমভাবে নিষ্পেষিত হতে থাকে লাখ লাখ উপকূলবাসী।
এরই মধ্যে কালো থাবা বিষদাঁত বসিয়ে দেয় সুপার সাইক্লোন আম্পান। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন দিশেহারা পানি বন্দি শ্যামনগরের জনপদের অগণিত মানুষ। করোনা ও ঝড়ের প্রকোপ কিছুটা কাটিয়ে হামগুড়ি দিতে শুরু করে উপকূলবাসী।
আবারো নেমে আসে দুর্দশার আরেক অধ্যায়। বন্ধ হয় জীবনধারণের একমাত্র অবলম্বন সুন্দরবনের পাশ পারমিট। অভাব অনটন ঋণ দেনার মধ্য দিয়ে রুদ্ধশ্বাসে পার হয় আরো দুইটা মাস। জুলাই ও আগস্ট মাস পার করে নতুন আশা ও উদ্দীপনায় বুক বেঁধে নারী ও পুরুষ মিলে সুন্দরবনে যাওয়ার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত উপকূলের প্রতিটা ঘর।
দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের পাশ পারমিট পেতে চলেছে উপকূলের জেলেরা। এই পাশ পারমিট খোলাতে উপকূলবাসীর জীবনে নিয়ে আসবে হাসি আর আনন্দময় সচ্ছল জীবন।
পাশ পারমিট খোলা বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বনবিভাগ বুড়িগোয়ালিনীর স্টেশন অফিসার মো. সুলতান আহমেদ জানান, এই অঞ্চলের জেলেদের দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে বাংলাদেশ বনবিভাগ পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য পাশ পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।