টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে গুণগত সামাজিক গবেষণায় তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
গুণগত গবেষণা ফলাফলের প্রয়োগ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই গুণগত গবেষণার উপর অধিক গুরুত্বারোপ করার কারণে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পেরেছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নে গুণগত গবেষণার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে গুণগত সামাজিক গবেষণায় তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
গতকাল বিকেলে শিক্ষানগরী রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হোস্টেল মাঠ প্রাঙ্গনে ‘স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সামাজিক গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তরুণদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘তারুণ্যের জয় হবে নিশ্চয়’ এ প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা স্বেচ্ছাসেবী গবেষণাধর্মী ও উন্নয়নমূলক তরুণ সংগঠন ‘ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস’ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সংগঠনটির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন উইংয়ের ইউনিট প্রধান ও কোষাধ্যক্ষ আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনা ও পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ শামীউল আলীম শাওন। সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে মুক্ত আলোচনা করেন, উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের বরেন্দ্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সামাজিক গবেষণা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তরুণদের বাদ দিয়ে সামাজিক উন্নয়ন বা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করা অনেকটাই অসম্ভব। বৈষম্যহীন, বৈচিত্র্যপূর্ণ, আন্তঃনির্ভরশীল, অসম্প্রদায়িক, সংবেদনশীল, বহুত্ববাদি এবং সহিংসতামুক্ত শ্রদ্ধাশীল মানবিক সমাজ বির্নিমাণে তরুণদের ভূমিকা অনেক জরুরি। আর এমন স্বপ্নের সমাজ গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ঐক্য ও স্বেচ্ছায় একনিষ্ঠভাবে গুণগত সামাজিক গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তরুণদের স্বর্তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।’
মতবিনিময় সভার মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন, সংগঠনটির নারী শিশু ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা আলী মেঘলা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান হোসেন রকি, কার্যনিবার্হী সদস্য মোসাঃ সুকতারা শ্রাবণী, সাধারণ সদস্য যথাক্রমে আলমগীর কবির সবুজ, মোসাঃ রিনা আক্তার, মোঃ আবুল বাশার রজন, মোঃ শাওন ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
রাজশাহী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের শিক্ষার্থী সাব্বির আল সাফি, রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিংকন, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী শাকিল আহাম্মেদ, উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের কমিউনিটি ফ্যাসিলেটর তহুরা খাতুন লিলিসহ রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যায়নরত এবং বিভিন্ন পেশায় কর্মরত তরুণ-তরুণীগণ অংশগ্রহণ করে নিজেদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।
এদিকে, মতবিনিময় সভা শেষে অংশগ্রহণকারী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সাদিয়া আফরোজ, সাব্বির আল সাফি, লিংকন, শাকিল আহাম্মেদসহ বেশকিছু তরুণ-তরুণী সদস্য ফরম পূরণ ও সংগঠনের সভাপতির হাতে জমাদানের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে গবেষণাধর্মী ও উন্নয়নমূলক তরুণ সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। উল্লেখ্য, ‘তারুণ্যের জয় হবে নিশ্চয়’ এ প্রত্যয়ে স্বেচ্ছাসেবী গবেষণাধর্মী ও উন্নয়নমূলক তরুণ সংগঠন ‘ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস’ রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চলে নিরাপদ সড়ক, নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, পরিবেশ-প্রতিবেশ, প্রাণ-প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা-সাহিত্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, শিল্প ও চারুকলা, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সুরক্ষা, মানুষসহ সকল প্রাণের খাদ্য নিরাপত্তা ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত, সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার বাস্তবায়নসহ বৈষম্যহীন, বৈচিত্র্যপূর্ণ, আন্তঃনির্ভরশীল, অসা¤প্রদায়িক, সংবেদনশীল, বহুত্ববাদি এবং সহিংসতামুক্ত শ্রদ্ধাশীল মানবিক সমাজ বির্নিমাণের লক্ষ্যে রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে গবেষণাধর্মী ও উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে।