প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাকে গণমূখী করতে হবে

মানিকগঞ্জ থেকে বিমল রায় ও শাহীনুর রহমান
গ্রাম অঞ্চলের কৃষক, তাঁতী , জেলে, কামার, কুমার, দলিত ও পেশাজীবীদের সন্তানদের মধ্যে অনেক মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু তারা ভালো মেধা থাকা সত্বেও শিক্ষার বাণিজ্যকরণ, পেশাজীবী সন্তানদের জন্য বিশ^ বিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা না থাকা, অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে একসময় লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ে।


একজন কৃষক ও জেলে সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা মেধা দিয়ে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় বিশ^ বিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসতে হয়। তাছাড়া করোনাকালে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নিয়মিত ক্লাশ থেকে বঞ্চিত হয়। কেউ কেউ পারিবারিক অর্থনৈতিক দৈন্যতা কাটাতে কাজে যোগদান করে এবং অনেক নারী শিক্ষার্থী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছেন। যদিও শিক্ষার উন্নয়নে সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারিকরণ, করোনাকালে শিক্ষকদের জীবিকায়নে বহুমুখীর সরকারি উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।


কিন্তুু শিক্ষা সকলের মৌলিক অধিকার হলেও প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো গণমুখী পর্যায়ে যেতে পারেনি। প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা গণমূখী হতে হবে। সম্প্রতি শিক্ষা দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জ দলিত ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বারসিক’র সহযোগিতায় এক অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।


মানিকগঞ্জ দলিত ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র অজিত মনিদাসের সভাপতিত্বে বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়ের সঞ্চালনায় উক্ত দিবসের ধারণাপত্র পাঠের মাধ্যমে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকেন অধ্যক্ষ উর্মিলায় রায়। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক মো. আরশেদ আলী, শিশু সংগঠক রুমি আক্তার, প্রভাষক আরশেদ আলী, হরিমাপুর পদ্মাপাড়ের পাঠশালার পরিচালক মীর নাদীম হোসেন, বারসিক কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন যুব সদস্য শাহীন টিুটু, মো. জাকির হোসেন, বারসিক কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন সাহা, মুকতার হোসেন, কমল চন্দ্র দত্ত, ঋৃতু রবিদাস প্রমুখ।

happy wheels 2

Comments