নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করাই হাসপাতালগুলোর লক্ষ্য হওয়া উচিত
মানিকগঞ্জ থেকে বিমল রায়
‘ঘিওর হাসপাতালটি ৫০ শয্যা হলেও ৩১ শয্যা বিল্ডিংটি পুরানো ও নাজুক। আমরা সমস্ত কাজ এই ১৯ শয্যায় ভবনেই করার চেষ্টা করছি। রুম নেই। ডাক্তার, নার্স, রোগীদের চলাচল বিঘ্নিত হয়। এখানে জনবল সংকট রয়েছে। পরিদর্শকদের মধ্যে ৬টার মধ্যেই ৫টিই শূন্য। স্বাস্থ্য সহকারী ৮/৯টি পদই শূন্য। কমিউনিটি হাসপাতালেই ভবনগুলো পুরনো ও নাজুক। তবে ইচ্ছা থাকলেও সীমিত সম্পদ দিয়ে সেবার কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’ উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব আহসান। সম্প্রতি বারসিক উদ্যোগে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডাঃ হাসিব আহসান আরও বলেন, ‘করোনাকালে আমাদের ডাক্তারদের সেবা প্রশংসনীয়। ঘিওরে এ পর্যন্ত করোনায় ১৬ ব্যক্তির প্রাণ গেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০০জন। এ ধরনের আলোচনা ও সভা মাঝে মাঝে করা উচিত যাতে ঘিওর উপজেলার নাগরিকগণ স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে সচেতন ও উপকৃত হন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসংগঠক উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম সভাপতি অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় আলোচনা করেন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিপুল বালো, বিশিষ্ট সমাজ সংগঠক, এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ, অধ্যাপক সালেমা বেগম, শিক্ষক দোরা রায়, উপজেলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও জেলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রায়।
আলোচনায় অজয় রায় বলেন, ভালো কাজ সব সময়ই ভালো। সেবাদানকারীদেরও সমস্যা আছে। তাই সকলের সাথে কথা বলে নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করাই আমাদের কাজ।’ ডাঃ বিপুল বালো বলেন, ‘আমরা যথা সচেষ্ট ঘিওর প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে তা ওভারকাম করার চেষ্টা করছি। এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ বলেন, ‘যেকোন সামাজিক কাজের সাথে থাকলে গর্ব অনুভব করি। ঘিওর একটি শান্তিপূর্ণ এলকা। এখানকার ডাক্তারগণ যথেষ্ট আন্তরিক। আমরা অতীতেও প্রাণ-প্রকৃতি, পাখি রক্ষা, পরিবেশ রক্ষার কাজে সম্পৃক্ত ছিলাম। বর্তমানে সকল পর্যায়ে বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করছি। নিশ্চয়ই সবার সহযোগিতায় এ কাজেও সফলতা পাওয়া যাবে।’