বস্তিবাসীদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করার দাবি
ঢাকা থেকে ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল
বেলা ২টা বাজতেই ছোট ছোট দলে মানুষ আসতে শুরু করলো গ্রীনভিউ স্কুলে। তাদের সবার হাতে স্লিপ। দেখে মনে হবে তারা ভোট দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু তা নয় তারা যাচ্ছেন বারসিক কর্তৃক আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে। গতকাল বারসিক’র উদ্যোগে ও ডিএসকে হাসপাতালের সহযোগিতায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের পাইওনিয়র হাউজিং বস্তিতে অনুষ্ঠিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে এভাবে বস্তিবাসীরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একত্র হয়েছেন। গ্রীনভিউ বিদ্যানিকেতনে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৫.৩০টা পর্যন্ত শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু, প্রবীণদের মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্যসেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/01/82416913_842724399485263_7208474209670922240_n.jpg)
স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে এসে ডিএসকে হাসপাতালের পরিচালক ডা: মাহবুবুর রহান বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ। বস্তির সাধারণ মানুষরা মূলত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত আর তাদের এতো সামর্থ্য নেই বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নেয়ার। এক্ষেত্রে ডিএসকে নিয়মিত এ কাজ করে থাকে।’ তিনি বারসিককে ধন্যবাদ জানান এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য।
বারসিকের সমন্বয়ক মো: জাহাঙ্গীর আলম বস্তিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বস্তির নিম্ন আয়ের মানুষরা যাতে শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়; সরকারি সকল সুবিধা যাতে পান। এক্ষেত্রে সরকারি সকল দপ্তরের সাথেই আমরা বস্তিবাসীদের নিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি ও দাবি জানিয়ে যাব।’ এক্ষেত্রে তিনি বস্তিবাসীদের সংগঠিতভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান।
ডিএসকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো: মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আমরা বারসিক’র আহবানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছি। ভবিষ্যৎ এ আবারো আমরা তাদের আয়োজনে শামিল হবো। বস্তিবাসীরা যদি ডিএসকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান আমরা সর্বনি¤œ খরচে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবো।’
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/01/82486505_615825079198041_6354398299046281216_n.jpg)
চিকিৎসা ক্যাম্পে আরো উপস্থিত ছিলেন ডা: শারমিন, বারসিক’র সহযোগী প্রকল্প সমন্বয়ক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা সুদিপ্তা কর্মকার, বারসিক ভলান্টিয়ার রিপন কর্মকার, রিয়াজ হোসেন, মুন্নি আক্তার প্রমূখ।
মেডিকেল ক্যাম্পে আগত ব্যক্তিদের এসময় বিনামূল্যে ব্লাড সুগার টেস্ট করা হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বস্তিবাসী আসমানী বেগম বলেন, ‘এর আগের বারসিক এরকম উদ্যোগ নিছিল। আমার ছোট মেয়েটা সেসময় ঔষধ খেয়ে ভালা হইছিল। এইবারও ডাক্তার দেখাইতে আইছি। আমরা খুব খুশি এরকম কাজে।’
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/01/83835047_206544723835971_2434286729209839616_n-1.jpg)
প্রবীণ নারী জরিনা খাতুন বলেন, ‘বাবা বস্তির মানুষরে কেউ দেখেনা। আপনারা অনেক ভালা কাম করতাছেন। মেডিকেল ক্যাম্প শেষে বারসিকের পক্ষ থেকে সকলকে সহযোগিতার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ প্রদান করা হয়।