এক গ্রামেই দুই বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন তানোরের ইউএনও
মিজানুর রহমান, তানোর (রাজশাহী) থেকে
রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির দুই ছাত্রী। সম্প্রতি উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া হাড়দো সিলিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ওই গ্রামের গোলাম আলী মেয়ে শাহিনা খাতুনের (১৩) বসন্তপুর গ্রামে এবং কালাম আলীর মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌসের হাড়দো গ্রামেই পৃথকভাবে বিয়ে ঠিক করেন তাঁদের বাবা-মা। সে মোতাবেক কনের বাড়িতেই শুক্রবার সকাল থেকে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই দুই ছাত্রী বাগধানী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করেন।
আর এ বিষয়টি জানতে পেরে গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাসরিন বানু দুই বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও বিয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এ সময় দুই বিয়েই বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘একই গ্রামে দুই বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন গোপন খবরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বরসহ অন্য লোকজন পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবা-মা এই মর্মে মুচলেকা দেন যে তাঁদের মেয়েদের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিয়ে দেবেন না। আবারও বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।