সাম্প্রতিক পোস্ট

শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমে বহুত্ববাদি সমাজ নির্মাণ সম্ভব

মানিকগঞ্জ থেকে বিমল চন্দ্র রায়
বহুত্ববাদি সমাজ বিনির্মাণে নাগরিক সমাজের ভূমিকা বিষয়ক এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত গতকাল ২৬ জুলাই। বারসিক ও মানিকগঞ্জ হিউম্যান রাইটস ফোরামের যৌথ আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন মানিকগঞ্জ হিউম্যান রাইটস ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ। সন্মানীত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক, মানিকগঞ্জ জেলা স্বাধিনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি,অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ পংকজ কুমার মজুমদার ও সমাজকর্মী, রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিত্ব শফিকুল ইসলাম চপল। উন্মুক্ত মতামত প্রদান করেন উন্নয়ন কর্মী আব্দুল ওয়াহেদ, মানিকগঞ্জ হিউম্যান রাইটস ফোরামের সদস্য এডওয়ার্ড জামান, পদ্মাপাড়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়ক শিক্ষা কার্যক্রম পাদ্মপাড়ের পাঠশালার পরিচালক মীর নাদিম হোসেন, খেলাঘর আসর কেন্দ্রীয় সংগঠক রুমি আক্তার, বারসিক কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, সমাজ সংগঠক ও প্রগতি লেখক সংঘের মানিকগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উন্নয়ন কর্মী শাহিনুর রহমান, সমাজকর্মী ইকবাল খান, দলিত শিক্ষার্থী সুমন্ত চন্দ্র দাস প্রমুখ।


সভায় শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ আগে প্রাকৃতিক রাজ্যে বসবাস করত। যেখানে জীবন, সম্পত্তি ও স্বাধীনতা এ সব অধিকার ছিল প্রাকৃতিক অধিকার বা ন্যাচারাল রাইটস বলে। রুশো, ডেভিড হিউসসহ আরো মনিষীরা সমাজ নিয়ে মতামত দিয়েছেন। বটম মোর সামাজিক স্তর বিন্যাস দাস প্রথা, এস্টেট প্রথা, জাতি, বর্ণ বা কাস্ট প্রথা, শ্রেণি এবং মর্যাদা এই চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। এই স্তর বিন্যাসের ভিতর দিয়ে বিভাজনের সূত্রসমূহ বিরাজমান। এই নাগরিক সমাজ নিয়ে গ্রামসীর মতে রাজনৈতিক সমাজ যা রাষ্ট্র ও সরকারের সমাজ। প্রকৃতি রাজ্য ও সামাজিক চুক্তি মাধ্যমে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজ। রাজনৈতিক সমাজ কাছে মানুষ তার প্রকৃতি প্রদত্ত অধিকার যেমন স্বাধিনতা ও সার্বভৌমত্বের অধিকারসমূহ জমা রাখে এই শর্তে দেশে শান্তিময় জীবনের প্রত্যাশায়। রাজনৈতিক সমাজ নাগরিকদের প্রতিপালন করবে। কিন্তু বাস্তবে অনেক সময় উল্টো ঘটনা ঘটে।’

ডা: পংকজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘বহুত্ববাদি দর্শন হচ্ছে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা। রাষ্ট্র কোনভাবেই বৈষম্যমূলক হবে না। সকল ধরনের বৈষম্যমুক্ত হতে হবে।’ খ্রিষ্টান ধর্মজযাযক এডুওয়ার্ড জামান বলেন, ‘পরস্পর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মাধ্যমেই সম্প্রীতি গড়ে উঠে এবং বহুত্ববাদি সমাজ নির্মাণ করা সম্ভব।’ দলিত শিক্ষার্থী সুমন্ত চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা দেখি আমাদের কাজের বিষয়ে নানান সীমাবদ্ধতা আছে। পেশায় অনেক বৈষম্য। আমরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমাদের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে। এই সকল বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’


উল্লেখ, বারসিক দীর্ঘদিন যাবত প্রাণ, প্রকৃতি রক্ষায় বহত্বুবাদি সমাজ বির্নিমাণে নানান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে স্থানীয় মানুষকে সাথে নিয়ে।

happy wheels 2

Comments