দুর্যোগে প্রস্তুতি থাকলে সম্পদের ক্ষতি কম হয়

হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে মুকতার হোসেন
‘মুজিববর্ষের সফলতা, দুর্যোগ প্রস্তুতিতে গতিশীলতা’-এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মানিকগঞ্জ হরিরামপুর উপজেলা আজিমনগর ইউনিয়নে বসন্তপুর গ্রামে বসন্তপুর কিশোরী সংগঠনের আয়োজনে এবং বারসিক’র সহযোগিতায় সম্প্রতি জাতীয় দুর্যোগ প্রসস্ততি দিবসে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা এবং ফলজ গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচিতে বসন্তপুর কিশোরী সংগঠনের সদস্য, এলাকার কৃষক, শিশু, নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণ ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন, বসন্তপুর কিশোরী সংগঠনের সভাপতিত্ব লতা আক্তার, সদস্য মীম, পিয়ারা আক্তার, প্রবীণ কুষক ফকুরুদ্দিন, বারসিক’র প্রোগ্রাম অফিসার মুকতার হোসেন ও সত্যরঞ্জন সাহা।


আলোচনায় লতা আক্তার বলেন, ‘হরিরামপুর চরাঞ্চলে প্রতিবছরই কম বেশি বন্যার পানিতে এলাকা প্লাবিত হয়। এবং নদী ভাঙনের ফলে অনেক জমি জমা ক্ষেতের ফসল, গাছপালা নষ্ট হয়। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের বেশি করে গাছ লাাগাতে হবে। সবাইকে দুর্যোগ মোকাবেলা পূর্বেই থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।’


কিশোরী সংগঠনের সদস্য পিয়ারা আক্তার বলেন, ‘সকল দুর্যোগ শিশু ও নারী ও বয়স্ক মানুষ বেশি বিপদের সন্মূখীন হতে হয়। তাদের প্রতি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বেশি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বসন্তপুর গ্রামে নিকটবর্তী গ্রামে কোন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র না থাকায় নারীরা বন্যার সময় বেশি ঝুঁকিতে থাকতে হয়।’
বসন্তপুর গ্রামের প্রবীণ কৃষক ফকুরুদ্দিন বলেন, আমি ৩-৪ বার নদী ভাঙনে শিকার হয়েছি। এ বছর আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা, রামচন্দ্রপুর অনেক জায়গা জমি নদীতে ভেঙে গেছে। তাই নদীভাঙন রোধে আমাদের ছোন নলখাগড়া, ক্যাইশা, খইগাছ এগুলো কাটাবন্ধ করা দরকার।’


আলোচনা শেষে বসান্তপুর কিশোরী সংগঠনের উদ্যোগে বসত বাড়িতে কাাঁঠাল, পেয়ারা ও জামবুরা গাছের চারা রোপণ করেন। বারসিক চারা দিয়ে সহযোগিতা করে।


উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার অর্ন্তগত আজিমনগর ইউনিয়ন একটি দুর্যোগপ্রবণ ইউনিয়ন হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিবছর বন্যা, নদী ভাঙন, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চরাঞ্চলের মানুষের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা, আবাদি জমি, জমির ফসলসহ প্রাণবৈচিত্র্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

happy wheels 2

Comments