বাড়িতেই বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে চাই
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে রুবিনা রুবি
সারাবছর ধরে অব্যাহতভাবে ভেঙেই চলেছে গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন সংলগ্ন উপকূলের রক্ষাকবচ বেড়িঁবাধ। বছরের সব মৌসুমই অব্যাহত রয়েছে এই বেড়িঁবাধ ভাঙন। বারবার বেড়িবাঁধ ভাঙছে আর চোখের জলে নদীর জলে ভাসছে উপকূলের মানুষ। এবার ও তার ব্যতিক্রম নয়।
সম্প্রতি বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি পাউবো বেড়িঁবাধ ভেঙে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। দেখা দেয় সুপেয় খাবার পানির সংকট। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ভূ-পৃষ্ঠ তলে লবণ সবসময়ই ছিলো। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। প্রতিদিনের গৃহস্থালির কাজের জন্য নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানি পরিশোধন করা হয় রান্ন্ াএবং খাওয়ার কাজে ব্যবহার করার জন্য। এর মধ্যে টিউবওয়েল, পিএসএফ, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও লবণ বিমুক্তকরণের বিভিন্ন প্রযুক্তি।
কিন্তু অধিকাংশ টিউবওয়েল আর কাজ করছে না কারণ ভূ-তলে যত গভীরে যাওয়া হোক না কেন মিঠা পানির সন্ধান মেলা ভার এবং বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে লবণ পানি প্রবেশ করার ফলে পিএসএফ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এজন্য বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগী যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের যুবদের উদ্যেগে ভাঙন কবলিত এলাকায় মানুষের বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার জন্য ২৫টি পরিবারের ১২০ জন মানুষের পলিথিন কাগজ বিতরণ করে।
পলিথিন ব্যবহার পরিবেশের জন্য যুক্তিযুক্ত না হওয়া সত্বেও যুবটিম কেন পলিথিন দিয়ে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিলো জানতে চাইলে যুব টিম বলেন, ‘আমরা কখনো প্লাস্টিকমুক্ত বিশ^ গড়ে তুলতে পারব না। টিকে থাকাটা বেঁচে থাকাটা এখন জরুরি। এজন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী সিন্ধান্ত নিয়ে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি কারণ অনেক সংকটপূর্ন জায়গায় গিয়ে পানি দেয়া অনেক সময় সম্ভব হচ্ছে না। একারণে সে এলাকার জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনা করে সময়উপযোগী এ সিদ্ধান্ত।