নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিৎ করা জরুরি
শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে বিশ্বজিৎ মন্ডল
উপকূলীয় এলাকার স্বেচ্ছাসেবক টিম সিডিও ইয়থ টিমের উদ্যোগে ও বারসিক’র সহায়তায় কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের কৃষাণী রোজিনা বেগমের বাড়িতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিৎকরণ বিষয়ক গ্রাম পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। সভায় জয়নগর, গোবিন্দপুর, শংকরকাটি গ্রামের কৃষক-কৃষাণী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য পদপ্রার্থী, নতুন প্রজন্ম, সিডিও ইয়থ টিমের স্বেচ্ছাসেবক ও বারসিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সিডিও ই্য়থ টিমের কামিশাড়ি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ কৃষক নুর মোহম্মাদ মোড়ল, কৃষাণী রোজিনা বেগম, স্বেচ্ছাসেবীকা রুমি, বারসিক কর্মসূচি কর্মকতা বিশ^জিৎ মন্ডল ও এলাকা সমন্বয়কারী পার্থ সারথী পাল।
সভায় বক্তারা জানান, ‘আমাদের সকলের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য জরুরি হলেও তার চেয়ে বেশি জরুরি নিরাপদ খাদ্য। টেকসই জীবন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। অনিরাপদ খাদ্য যে শুধু স্বাস্থ্যের ঝুঁিকর কারণ নয় বরং দেহে রোগের বাসা বাঁধার অন্যতম কারণ। এখন মানুষ বেশি বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে। বর্তমান সময়ে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যেন আতঙ্কের মুল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ফলে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। এদিকটা খেয়াল রাখা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমি কি খাবার খাচ্ছি সে খাবার কোথা থেকে আসছে তা গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।’
তারা বলেন, ‘আমাদের খাদ্য কিভাবে অনিরাপদ হচ্ছে এথেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে তা নিয়ে নিজেদের যেমন সতর্ক থাকতে হবে তেমনি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা যতটা পারি দেশীয় ফল, মাছ, মাংস ও সবজি গ্রহণ করবো। এলাকা থেকে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করা এবং সেগুলো কিভাবে চাষ করা হচ্ছে তা দেখা। ফরমালিন মুক্ত থাকলে তা অন্যদের ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করা। তরকারি কাটা ও ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করাসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের নানান বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।’
অংশগ্রহণকারীরা জানান, সকলের একত্রিত হয়ে শপথ গ্রহণ করা দরকার যে আমরা দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের গুরুত্ব দেবো এবং তা ব্যবহার করবো। আমরা যারা ফসল উৎপাদন করি সবাই তা সচেতনতার সাথে করার চেষ্টা করবো। খাদ্যে যাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকে সেভাবে ব্যবহার করবো। চারিদিকে প্রতিদিন শুধু মৃত্যুর খবর পাচ্ছি যে নানান ধরনরে রোগে মানুষ মারা যাচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিৎ করা বর্তমান সময়ের জন্য খুবই জরুরি। আর এটা আমাদের পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। শুধূ কৃষকরে পক্ষ্যে সম্ভব নয়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তা দরকার। আর এসব কিছু সচেতন হলেই সম্ভব।