অসহায় মানুষের মুখে হাসি দেখতে ভালো লাগে
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
হাজারো ব্যস্ততার মাঝে এবং জায়গার অভাবের পরও বস্তির মাঝখানে পরিত্যক্ত সামান্য জায়গা সবুজে রূপ দিয়েছেন রাজশাহীর পাঁচ তরুণ। মান্না, শিপলু, রহিম, আক্কাস ও পাশা নামের এই তরুণদের উদ্যোগে ওই পরিত্যক্ত জায়গায় জৈব উপায়ে শাকসবজি চাষ করছেন।
পেশায় মান্না ও শিবলু কসায়। বাকিরা যখন যে কাজ পান তা করেন। তাঁরা পাচ বন্ধু। কাজের সুবাদে নামোভদ্রা বস্তিতে এসে কিছু জায়গা দেখতে পান তারা। এই পরিত্যক্ত জায়গাটি কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে তারা আলোচনা করেন। এক পর্যায়ে তাদের সবার সিদ্ধান্তে সেখানে সবজি চাষের উদ্যোগ নেন। পরিকল্পনামাফিক তারা সেই পরিত্যক্ত জায়গা প্রস্তুত করেন। সেখান থেকে যা সবজি তারা পান সেগুলো দরিদ্র বস্তির মাঝে বিতরণ করেন।
তাদের এমন উদ্যোগ দেখে বারসিক এ তরুণদের নানাভাবে সহযোগিতা করে। সবজি চাষের জন্য বারসিক বীজসহ নানান পরামর্শ প্রদান করে। এছাড়া কীভাবে পরিবেশবান্ধব উপায়ে সবজি চাষ করতে হবে সেই বিষয়েও বারসিক তাদের নানান কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে।
বারসিক তাদের সংগঠিত করে একটি সংগঠন তৈরি করার উৎসাহ দেয়। এভাবে তারা বস্তিবাসী সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘আমার অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে। কাজ করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষের মুখে হাসি দেখতে ভালো লাগে। বারসিক আমাদের কাজকে আরো গতিশীল করেছে, বাড়তি সহযোগিতা পেয়েছি। যার জন্য এখন সবুজে ভরপুর হয়েছে এই পড়ে থাকা জায়গাটা।’
বর্তমানে ওই পরিত্যক্ত জায়গায় সজিনা, লাল শাক, সবুজশাক, কলমিশাক, পেঁপে, বেগুন, টমেটো, মরিচ এবং শসা চাষ করছেন তারা। এ সবজি বস্তিবাসীদের বিরতণ করে তরুণরা বস্তিবাসীদের সবজি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে অবদান রাখছেন।