আপন প্রকৃতি ও সংস্কৃতি ধারণ করেই প্রযুক্তির উন্নয়নে ‘ইয়্যুথ স্কিল জার্নি’
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরেন্দ্র অঞ্চল
তরুণদের চাহিদা ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে “স্কিল জার্নি” (দক্ষতা উন্নয়ন যাত্রা)। “স্কিল জার্নি” হলো ধারাবাহিক একটি ক্যাম্পেইন বা চাহিদাভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচি। যেখানে তরুণদের বর্তমান সময়ে চাহিদাভিত্তিক নিজের দক্ষতা, কারিগরি জ্ঞান, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রকৃতি পরিবেশ সুরক্ষায় করণীয় ইত্যাদি উদ্যোগগুলো একে আরেকজনের মধ্যে বিনিময় করেন। কখনো বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, কখনো অভিজ্ঞতা বিনিময় আবার অভিজ্ঞজনের সাথে প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎকার বা সরাসরি তার কাছে শিখে নেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো হয়ে থাকে এই স্কিল জার্নিতে।
তরুণদের ব্যাপক আগ্রহ এবং উদ্দীপনা থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে এই স্কিল জার্নির চারটি পর্ব পার করলো। স্কিল জার্নির চতুর্থতম এই পর্বের বিষয় ছিলো “ সিভি/ রিজিউম রাইটিং, কেরিয়ার কাউন্সিলিং, ইফফেকটিভ কমিউনিকেশন স্কিল এবং ইয়্যুথ কেরিয়ার লিডারশিপ” বিষয়ক কর্মশালা।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগরীর বড়কুঠি পদ্মা পাড়স্থ কফিবার মিলনায়তনে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর সহায়ক ভূমিকায় রাজশাহীর তরুণ সংগঠন বিআইইস (বাংলাদেশ ইননোভেটিভ এ্যাডুকেশন সোসাইটি) এর উদ্যোগে উক্ত কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়। এতে রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন তরুণ অংশগ্রহণ করেন। উক্ত কর্মশালার বিষয়ভিত্তিক হিসেবে ইফফেকটিভ কমিউনিকেশন এন্ড নেটওয়ার্ক স্কিল বিষয়ে সহায়ক হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর মেহজাবিন আনজাম পৃথু, সিভি/ রিজিউম রাইটিং এন্ড কেরিয়ার কাউন্সিলিং বিষয়ে সহায়ক হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া আরবান প্রজেক্ট ডিরেক্টর আশাদুজ্জামান চন্দন, ইয়্যুথ কেরিয়ার লিডারশিপ বিষয়ে সহায়ক হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন বরেন্দ্র শিক্ষা সংস্কৃতি বৈচিত্র্য রক্ষা কেন্দ্রর সভাপতি ও মোসাফির গার্মেন্টস এর সিও জাওয়াদ আহমেদ রাফি। এ সময় পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণদের দায়িত্ব এবং ভূমিকা বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম। সম্পূর্ণ কর্মশালাটি সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন বিআইইস (বাংলাদেশ ইননোভেটিভ এ্যাডুকেশন সোসাইটি) এর সভাপতি মো. জয়নুল আবেদীন সবুর।
কর্মশালা শেষে তরুণরা আগামীতে স্কিল জার্নির পরবর্তী পর্ব দিকগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন সংগঠটির সদস্য আবিদা হাসানা। আলোচনা শেষে অনলাইনভিত্তিক স্লাইড মেকিং প্রুতিযোগিতার বিজয়ীর হাতে পুরুষ্কার তুলে দেয়া হয়। একই সাথে কর্মশালার অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপন প্রকৃতি ও সংস্কৃতিকে ধারণ করেই তারুণ্যের সংযোগ হবে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সাথে। নিজে উন্নত হবে এবং আরেকজনকে উন্নয়নে এগিয়ে নিবে সেই প্রত্যাশায় তরুণ দক্ষতা উন্নয়ন যাত্রা এগিয়ে যাবে।