সবুজ মনের মানুষ, সবুজ ক্যাম্পাস ,সবুজ নেত্রকোনা।
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান:
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে সবুজ ক্যাম্পাস তৈরির কাজ শুরু করে ১৬০ কিলোমিটার দুরে নেত্রকোনার রাজুরবাজার কলেজিয়েট স্কুল ক্যাম্পাসকে সবুজায়নের কাজ করছেন সবুজ মনের মানুষ অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। তিনি প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন মাটি ও মানুষকে।
২০১৮ সালে আয়োজন করেন তারই ক্যাম্পাসে ট্রি-অলিম্পিয়ার্ড। বারসিক’র সহযোগিতায় নেত্রকোনা সম্মিলিত যুব সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের আয়োজনে ৬০টি স্কুলের অংশগ্রহণে সারাদিন আলোচনা, কুইজ, প্রতিযোগিতা, পরিবেশ সম্মাননা, পুরস্কার বিতরণ, সবুজ নেত্রকোনা গঠনে স্বপ্নবৃক্ষ তৈরি ও স্কুল ক্যাম্পাসে গাছ রোপণের মধ্য দিয়ে দিনটিকে আনন্দঘন করা তুলে হয়।
সবুজ নেত্রকোনা গঠনে সবুজ ক্যাম্পাস তৈরি, সবুজ গ্রাম তৈরি, নেত্রকোনা অঞ্চলে ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণে অভিযান পরিচালনা, প্রকৃতিকে চেনা, স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা ও গাছ বিতরণ, নিমগ্রাম, সাজনা গ্রাম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানের দিনই শিক্ষার্থী ও অতিথিরা রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুল ক্যাম্পাসে রোপণ করেন ফলজ, ঔষধি গাছ। যে ক্যাম্পাসে আজ দুই বছরের ব্যবধানে একটি সবুজ ক্যাম্পাস গড়ে তুলেছেন কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। আজ সেই গাছে ফল ধরেছে, ফুল ফুটেছে, ক্যাম্পাস হয়েছে সবুজ। কবিরাজ বৃক্ষপ্রেমিক আব্দুল হামিদ সেদিন থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, গ্রামে সংগঠনে আলোচনা করে যাচ্ছেন। সচেতনতা তৈরিতে গত দুই বছরে ৫০০০০ হাজার ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করেছেন। তিনি ছুটে গিয়েছেন স্কুলে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে গিয়েছেন জঙ্গলে প্রকৃতিকে, গাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, গাছের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ তৈরিতে সহযোগিতা করেছন।
যে যুবরা আয়োজন করেছিলো ট্রি অলিম্পিযার্ড তারাই দরুণবালিকে একটি সবুজ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলে। ধোঁয়ামুক্ত চুলা, পাখির অভয়ারণ্য, পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ, নিম ও সাজনা গ্রাম, জৈবকৃষি চর্চা, বায়ু গ্যাসের ব্যবহার, পরিচ্ছন্ন রান্নাঘর ও পরিচ্ছন্ন গ্রাম তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
নেত্রকোনার সম্মিলিত যুব সমাজ মগড়া নদী রক্ষা, শহরের পুকুরগুলো বাঁচানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। কেন্দুয়ার নগুয়া গ্রামকে নিমগ্রাম হিসেবে গড়ে তুলেছে গ্রামের যুবরা। মদন থেকে উচিতপুর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশ দিয়ে কৃষ্ণচুড়া, পলাশ, শিমুল, কাঞ্চন, কাঠবাদাম গাছ লাগিয়ে প্রকৃতিকে করেছেন সবুজ ও রঙিন । সবুজ নেত্রকোনা গঠনে নেত্রকোনা সম্মিলিত যুব সমাজের এই সবুজ চিন্তা ও ভাবনা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে।
আসুন আমরা প্রকৃতিকে বাঁচাতে প্রকৃতিকে চিনে নিই, প্রকৃতির মাঝেই যেহেতু আমাদের দুর্যোগের সমাধান তাই প্রকৃতির কোন ক্ষতি না করি। প্রকৃতি বাঁচাই, প্রকৃতিই আমাদের বাঁচাবে।