সাম্প্রতিক পোস্ট

স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছে আয়রা খাতুন

শিউলী রানী মন্ডল, আশাশুনি, সাতক্ষীরা:
আয়রা খাতুন (৫৪) আশাশুনি সদর ইউনিয়নের শ্রীকলস গ্রামের বাসিন্দা। মরিচ্চাপ নদীর বাঁধের ধারে তিন শতক খাস জমিতে বসবাস করছেন স্বামী-সন্তান ও নাতিদের নিয়ে। স্বামী ছামাদ গাজী দিনমজুরের কাজ করেন। কোন রকমে সংসার চলে তাদের। জলাবদ্ধতার কারণে এলাকায় চাষবাস না হওয়ায় পুরো এলাকা মাছের ঘেরে পরিণত হয়েছে। যার ফলে এলাকায় তেমন কোন কাজ নাই। ঘেরে মাটিকাটা ও শ্যালা বাছার কাজ করে তাদের দিন চলে।

এতে সামান্য আয় হয়। যার ফলে সংসারে অভাব লেগেই থাকে। উপকূলের এই আয়রারা রয়েছেন চরম দুর্দশায়।
আয়রা থাতুনের অভাবের সংসারে স্বচ্ছল্যতা আনতে বারসিক’র পরিবশে প্রকল্প থেকে আয়রা খাতুনকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে আয়বর্ধনের জন্য সহযোগিতা করা হয়। এই টাকায় ২টি ছাগল, ৩টি মুরগি এবং কলার ব্যবসায় সহযোগিতা করা হয়। বর্তমানের আয়রা খাতুনের ২টি ছাগল থেকে ৪টি ছাগল হয়েছে। ২টি ছাগলের পেটে বাচ্চা রয়েছে। ৩টি মুরগি থেকে ৯টি মুরগি, ২টি চিনা হাঁস এবং কলার ব্যবসা চলমান রয়েছে।


আয়রা খাতুন জানান, তার স্বামী এখন দিনমজুরের কাজ করেন না। পরিবেশ প্রকল্প থেকে পাওয়া কলার ব্যবসা করেন। এতেই তাদের সংসার চলে। এছাড়া প্রকল্প থেকে পাওয়া মুরগির ডিম বিক্রি করেও সংসারের কাজে ব্যয় করে। অন্যদিকে বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করেও সংসারে অবদান রাখছেন আয়রা। এখন তারা আগের থেকে ভালো রয়েছেন।
আয়রা খাতুন আরো জানান, কিছু ছাগল রেখে বাকি ছাগল বিক্রি করে তাদের বসবাসের ঘরটি সংস্কার করবেন এবং একটি দোকান ঘর নিয়ে তাদের কলার ব্যবসাটি আরো বড় করে করতে চান।

happy wheels 2

Comments