সেলাই মেশিন সহযোগিতা পেয়ে আমরা খুশি
সাতক্ষীরা থেকে মননজয় মন্ডল
সামগ্রিক উন্নয়ন তথা নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সংগঠিত হওয়া। ‘প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষায় সমন্বিত পথচলা’ এই মূলমন্ত্রকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা প্রান্তিক জনপদের কৃষি নারী সংগঠন “ধূমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠন”টি বিভিন্ন দিবস পালন, আলোচনা, প্রশিক্ষণ, সঞ্চয় জমা, স্থায়িত্বশীল কৃষি ব্যবস্থাপনা, জৈব পদ্ধতিতে বছরব্যাপী বৈচিত্র্যময় সবজি চাষাবাদ, বীজ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, সব ধরনের ঔষধি গাছের বনায়ন, ব্যবহার ও সংরক্ষণ, প্রাণী সম্পদ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, জৈব ও ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন, প্রশিক্ষণ ও ব্যবহার, অচাষকৃত উদ্ভিদবৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং হাজল ও পরিবেশবান্ধব বন্ধু চুলার ব্যবহার ও প্রশিক্ষণে সহায়তা, দুর্যোগকালীন খাদ্য সংকট নিরসনে শুটকি সংরক্ষণ, ব্যবহার ও স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধকরণ, পুকুরে স্থানীয় জাতের মৎস্য চাষ ও সংরক্ষণসহ নানা ধরনের জন উন্নয়নমূখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে।
সুসংগঠিত হয়ে সমসাময়িক নানারকম উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি সংগঠনের সদস্যবৃন্দ নিজেদের নিজেদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রতিনিয়ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ, আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় অব্যাহত রয়েছে। শুরুতেই প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেদের বসার ঘর। সংগঠনের ঘরটাকে আবার শ্যামনগর উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর এডিপির বাজেট থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা টাকার বরাদ্ধ নিয়ে সংগঠনের ঘরের চার পাশ ও মেঝে পাকা করেছেন।
সংগঠনের সদস্যবৃন্দ দর্জি কাজ, আরিজুরি ও বাটিক-বুটিকসহ কুটির শিল্পের কাজের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর। যার প্রেক্ষীতে চেয়ারম্যান মহোদয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিগত ১১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে একটি সেলাই মেশিন সহযোগিতা করেন। ধূমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনে একটি সেলাই মেশিন সহযোগিতাকালীন সময়ে চেয়ারম্যান মহোদয়সহ ইউপি সদস্য বকুল বেগম, রুপিয়া আজিম ও বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার মননজয় মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের পক্ষে সেলাই মেশিন গ্রহণ করেন সংগঠনের সভানেত্রী অল্পনা রাণী মিস্ত্রী। সেলাই মেশিন বিতরণকালীন সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জিএম শোকর আলী বলেন, “ধূমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠন নারীদের সংগঠিত করে ভালো কাজ করছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আপাতত একটি সেলাই মেশিন সহযোগিতা করেছি। পরে আরো একটি সেলাই মেশিন ও কিছু সিট কাপড় সহযোগিতা করব। আমি অবশ্যই সংগঠনের ভালো কাজের সাথে থাকতে চাই।”
সংগঠনের পক্ষে অল্পনা রাণী বলেন, “আমাদের সংগঠনের নারীদের হাতের কাজের জন্য সেলাই মেশিন সহযোগিতা পেয়ে আমরা খুশি। এটি আমাদের অনেক উপকার করবে। আমরা হাতের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবো।”
সংগঠিত হয়ে ধূমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠন সরকারি ও বেসরকারি নানা ধরনের পরিসেবা আদায়ে অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছে। যা কিনা নারীদের আত্মকর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে।