পুষ্প শোভিত তানোর উপজেলা চত্বর
অসীম কুমার সরকার, তানোর, (রাজশাহী)
‘আহা আজি এ বসস্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে এত পাখি গায়, আহা আজি এ বসন্তে।’ মাঘের শেষ। ফাল্গুন আসন্ন। আর এরই মাঝে ফুলে ফুলে সেজেছে তানোর উপজেলা চত্বর। বদলে গেছে চত্বরের চারিপাশ। বাহারি ফুলের বাগান। তার পাশে সেবা প্রার্থী মানুষের বসার ঘর। আর ঘরের পাশে পানির ঝর্ণা। চত্বরের পুকুরে ফুটে আছে লাল শাপলা। সান বাঁধানো পুকুর ঘাট। পুকুরের পাড় ঘিরে বসার পাকা স্থান। উপজেলায় কাজে আসা অনেকেই জিরিয়ে নেন এখানে বসে। ক্লান্তিতেও উপভোগ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
ই্উএনও মুহা: শওকাত আলীর নিজ উদ্যোগে সবুজ তানোর আর পরিচ্ছন্ন উপজেলা ক্যাম্পাস করার উদ্যোগে বদলে গেছে উপজেলা চত্বরের চিত্র। আগে যেখানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের পাশের ফাঁকা জায়গায় দেখা যেত ময়লা আর্বজনার স্তুপ, এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে হরেক রকম ফুলের বাগান। শুধু ফুলের বাগান নয়; সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পুরাতন বৃক্ষগুলোরও গোড়া পরিষ্কার করে চুনকাম করা হয়েছে। উপজেলায় সেবা নিতে আসা মানুষের যনবাহন রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে গ্যারেজ ঘর। পাখির নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য গাছে গাছে পাখির বাসস্থান তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আগের তুলনায় উপজেলা চত্ত্বরের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুষ্প শোভিত সৌন্দর্য দেখতে অনেকেই এখন উপজেলা চত্বরে এসে মুঠোফোনের ফ্রেমে নিজেকে বন্দী করছেন। তানোর পৌরসভা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইলয়াস আলী মৃধা বলেন, “এখন উপজেলা চত্ত্বরে এলে মনটা ভালো হয়ে যায়। মনে হয় কোন উদ্যানে প্রবেশ করছি। পুকুর, ঝর্ণা, ফুলের বাগান দেখতে খুবই ভালো লাগে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী সোনিয়া আকতার, নাসরিন খাতুন ও হীরা খাতুন বলেন, ‘যখন উপজেলা ক্যাম্পাসে আসি তখনই, সোনালি ফুলের সমাহার দেখেই মুগ্ধ হয়ে যাই।” তারা এও জানান ফুলে ফুলে সাজানো বাগানটি ক্যাম্পাসের অন্যতম আকর্ষণ। গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, চায়না গাঁদা, কসমস, ক্যানলডোলা, রঙ্গন, পিটুনিয়া, সাইলোসিয়াসহ অনেক ফুল এখন শোভাবর্ধন করছে এই উপজেলা চত্বর ফুলবাগানে।
বর্তমান ইউএনও মুহা: শওকাত আলী এ উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলা চত্ত্বরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির দিকে নজর দেন এবং নিজস্ব উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন উপজেলা ক্যাম্পাস করার জন্য এই সমস্ত কাজ করেন। তিনি জানান, সেবা নিতে আসা মানুষগুলো যেন স্বস্তি নিয়ে কাজ করতে পারে সে জন্যই উপজেলা চত্বরকে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে।