রাজশাহীতে বিয়াসের স্বল্প মেয়াদী কোর্স: জলবায়ু পরিবর্তন, বৈচিত্র্য ও আন্তঃনির্ভরশীলতা
রাজশাহী থেকে মো. জাহিদ আলী
বিয়াস কর্তৃক আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন, বৈচিত্র্য ও আন্তঃনির্ভরশীলতা বিষয়ক ৫দিনব্যাপী স্বল্প মেয়াদী কোর্স সনদ বিতরণী এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাজশহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ এর সভাকক্ষে। কোর্সটি শুরু হয় গত ২৯ অক্টোবর, ২০১৭ রোজ রবিবার। কোর্সটি আয়োজন করেছে সহযোগিতা করে বারসিক বরেন্দ্র রিসোর্স সেন্টার ও ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ।
কোর্সটির প্রথমদিনে উদ্বোধন করেন গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইসহাক এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ করেন গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার মো. মজিবুর রহমান।
কোর্সটিতে গোদাগাড়ি উপজেলার ঋশিকুল ও গোদাগাড়ী ইউনিয়নর ২০ জন শিক্ষার্থী এবং যুবক অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬ জন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ ছিল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২জন আদিবাসীও অংশগ্রহণ করেছিল। শিক্ষার্থীদের সকলেই ছিল উচ্চমাধ্যমিক পাশ এবং স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত। শিক্ষর্থীদের পাশাপাশি একজন কৃষক, একজন ব্যবসায়ী এবং একজন গ্রাম্য ডাক্তার যুবক অংশগ্রহণ করে।
কোর্সটিতে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন বিয়াস, ফ্যাকাল্টি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ রায়, বিয়াস কোর্স কোর্ডিনেটর বাহাউদ্দীন বাহার, সম্পদ ব্যক্তি জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত ইউসুফ মোল্ল্যা এবং বারসিক’র সহযোগী সমন্বয়কারী এরশাদ আলী কোর্সটিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর সাথে সম্পর্কিত প্রত্যয়সমূহ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক, জলবায়ু পরিবর্তন: অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আমাদের দায়িত্ববোধ, বৈচিত্র্য ও আন্তঃনির্ভরশীলতা বিষয়গুলো নিয়ে তাত্ত্বিক এবং হাতে কলমে পাঠদান করা হয়। কোর্সের মাঠ পর্যায়ের বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি আগ্রহ এবং আনন্দ নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি হচ্ছে যে, বরেন্দ্র এলাকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তারা যদি পানির সুষ্ঠু ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা না করেন তাহলে অচিরেই এই বরেন্দ্র ভুমি মরুময়তায় পরিণত হবে। তাদের উপলদ্ধি হচ্ছে, সকলের উচিত এই কোর্স থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান সম্পর্কে আরো জানা ও প্রতিদিনকার কাজের মধ্য দিয়ে তার প্রয়োগ ঘটানো।
জলবায়ু পরিবর্তন, বৈচিত্র্য ও আন্তঃনির্ভরশীলতা প্রত্যেকটি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। মানুষের সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই বিষয়গুলোকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েই কাজ করতে হবে। কোর্স থেকে অর্জিত জ্ঞানগুলো যদি শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনিন্দিন জীবনে কাজে লাগাতে পারে তবেই এই কোর্স আয়োজনটি স্বার্থক হবে।