নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে নারীর ভূমিকা বেশি
বিউটি সরকার,সিংগাইর.মানিকগঞ্জ
বায়রা একতা কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, উন্নত উৎপাদন, উন্নতপুষ্টি, উন্নত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন’-এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বারসিক’র উদ্যোড়ে গত ১৬ অক্টোবর বিশ^ খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে। উক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা, নিরাপদখাদ্য প্রদর্শনী, নারীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, স্থানীয় জাতের বীজ বিনিময় এবং বৃক্ষ বিতরণ করা হয়।
বিশ্ব খাদ্য দিবসকে কেন্দ্র করে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সমাজসেবক কোহিনুর হোসেন, বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার শিমুল বিশ্বাস, উক্ত সংগঠনের সভাপতি রোকেয়া বেগম এবং সহসভাপতি নাসির উদ্দিন। আলোচনায় সমাজসেবক কোহিনুর হোসেন বলেন, ‘বাড়ির আঙ্গিনা পতিত না রেখে সব্জি চাষ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে নারীর ভূমিকা বেশি।’ তিনি নিরাপদ খাদ্য বৃদ্ধিতে বারসিক’র ভূমিকাকে প্রশংসা করেন। রোকেয়া বেগম বলেন, ‘নারীরা বাড়ির সব কাজ করে কিন্তু তাদের কাজের মর্যাদা, অধিকার এবং ন্যায্য মূল্যায়ন পাচ্ছেন না।’ দিবসের ধারণাপত্র পাঠ করেন কলেজ ছাত্রী লিজা আক্তার।
আলোচনার পরবর্তীতে সংগঠনের সদস্যরা নিরাপদ খাদ্য প্রদর্শন করেন। নিরাপদ খাদ্যের তালিকায় জৈবসারে উৎপাদিত শাকসবজি, স্থানীয় জাতের ফলমূল, আপনজ¦ালা উদ্ভিদ এবং জৈবসার ও জৈববালাইনাশক ছিল। এছাড়া স্থানীয় জাত বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রমের এক পর্যায়ে ১০ জন কৃষকÑকৃষাণীদের মাঝে ৭ প্রকারের স্থানীয় জাতের সব্জি বীজ বিনিময় করা হয়।
বাংলাদেশ খাদ্যের দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও নিরাপদ খাদ্যের দিক দিয়ে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। নিরাপদ খাদ্যের অভাবে মানুষ কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে এবং খাদ্য উৎপাদনে তারা বিভিন্নভাবে জড়িত।