দিনমজুর থেকে জৈবকৃষির প্রশিক্ষক
পরিবেশবান্ধব ও স্থায়িত্বশীল জৈবকৃষি চর্চা করে সফল হয়েছেন কলমাকান্দা উপজেলার, নাজিরপুর ইউনিয়নের ভেলুয়াতলি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল মোতালেব। নিজের কিছু পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে বিষমুক্ত শাকসবজি চাষ ও নার্সারি করে আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি করে অন্যকেও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন জৈবকৃষি চর্চা সম্পর্কে। নিজে জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক তৈরি করে নিজ বাগানে ব্যবহার করছেন অতিরিক্ত সার বিক্রি করে নগদ টাকাও আয় করছেন। বারসিকনিউজ.কম এর সাথে একান্ত আলোচনায় উঠে আসে তার জৈব কৃষি চর্চা, নার্সারি তৈরি, দিনমজুরি জীবনের কষ্ট, নেতৃত্বের জায়গা তৈরি করা, সামাজিকভাবে মূল্যায়িত হওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থায় জৈব কৃষির প্রশিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়টিও
কৃষক মো. আব্দুল মোতালেব এর সাথে আলোচনার সামগ্রিক বিষয়টি বারসিকনিউজ.কম এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছেন গুঞ্জন রেমা
বারসিকনিউজ.কম: কেমন আছেন?
আব্দুল মোতালেব: ইনশাল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
বারসিকনিউজ.কম: বর্তমানে কি কাজ করছেন?
আব্দুল মোতালেব:-বর্তমানে ঘরের কাজ করছি। সেই সাথে নার্সারির চারাগুলো মাটিতে পুঁতে দিচ্ছি।
বারসিকনিউজ.কম:-আমরা জানি আপনি পরিবেশবান্ধব ও স্থায়িত্বশীল কৃষি চর্চা করছেন পাশাপাশি নার্সারিও করছেন। কিন্তু এ পেশায় কিভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করলেন?
আব্দুল মোতালেব: বারসিক ২০১২ সালে আমার জমিতে ধানের একটা প্রদর্শনী প্লট করে। সেখানে তারা শুধুমাত্র জৈবসার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে। সেই প্লটের রক্ষণাবেক্ষণ আমিই করতাম। প্লটে কুইক কম্পোষ্ট দেওয়া হয়েছিল যা গোবর, খৈল ও কুড়া দিয়ে বানানো। আর বালাইনাশক বানানো হয়েছিল বিভিন্ন পাতা ও মেহগণির বীজ দিয়ে। প্রথমে মনে করেছিলাম তেমন ভালো হবে না। পরে দেখলাম ভালোই কার্যকরি এই জৈবসার ও বালাইনাশক। এরপর থেকেই আমি জৈব পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করার চিন্তা করি। জৈব পদ্ধতিতে প্রদর্শনী প্লট করে ফলন ভালো হওয়া দেখে আমি এ পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহী হই। ২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসে মধুপুরে নার্সারির উপর একটা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। সেখানে জানতে পারি নার্সারি কিভাবে করতে হয়, নার্সারি করে কিভাবে লাভবান হওয়া যায়। তারপর ২০১৩ সালের প্রথম দিকে পেঁপে চারা দিয়ে নার্সারি শুরু করি এবং ভালোই লাভবান হই। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত এ কাজই করছি।
বারসিকনিউজ.কম: কত বছর যাবৎ এ কাজ করছেন এবং কেন করছেন?
আব্দুল মোতালেব: প্রায় ৩ বছর যাবৎ এ পদ্ধতিতে সবজিচাষ ও নার্সারি করছি। এ কাজটি করার ক্ষেত্রে আমার একটাই লক্ষ্য ছিল বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করা যেখানে আমি নিজে এবং অন্যদেরকেও বিষমুক্ত খাবার খাওয়াতে পারবো। রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়। যার কারণে নিজ জমির মাটি নষ্ট হওয়া থেকে মাটিকে বাঁচানোর জন্যও এ কাজটি শুরু করি।
বারসিকনিউজ.কম: এ কাজ করার পূর্বে কি কাজ করতেন? এবং কেন সেটা ছেড়ে এ কাজ করার ইচ্ছা হল?
আব্দুল মোতালেব: ছোটবেলা থেকেই অন্যের বাড়িতে বাৎসরিক চুক্তিতে কাজ করতাম। অন্যের বাড়িতে কাজ করাটা আমার জন্য খুব কষ্টকর ছিল। নিজের মতো করে কাজ করতে পারতাম না। নিজের কিছু জায়গা সারাবছর পতিত থাকতো কোন কিছু করতাম না। যখন জানলাম যে, শাকসব্জি চাষ ও নার্সারি করলে লাভবান হওয়া যায়। তখন নিজের পতিত জমিতে নার্সারি ও সব্জিচাষ করা শুরু করলাম জৈব পদ্ধতিতে। পরে একসময় দেখলাম মোটামোটি ভালোই লাভ করতে পারছি। এরপর থেকেই আমি জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ অব্যাহত রেখেছি।
বারসিকনিউজ.কম: রাসায়নিক সার ব্যবহার করে যেখানে অন্যান্য কৃষকেরা অল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন করছে সেখানে আপনি কেন এই জৈব কৃষি চর্চায় আগ্রহী হলেন?
আব্দুল মোতালেব : রাসায়নিক সার ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যায় জানি। একটা প্রশিক্ষণে জানতে পারি, রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটির গুণাগুণ বা উর্বরতা শক্তি, মাটিতে থাকা অণুজীব ও উপকারী পোকা মারা যায়। পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হয়। তাই আমি চিন্তা করলাম জৈব পদ্ধতিতে চাষ করলে আমার মাটির যেমন গুণাগুণ ঠিক থাকবে তেমনি আবার খরচও কম লাগবে। আবার পরিবেশেরও কোন ক্ষতি হবে না। আমার আর একটা চিন্তা ছিল যে, আমার নিজস্ব বলতে একটুখানি জমি আছে। সেটাও যদি আমি রাসায়নিক সার ব্যবহার করে নষ্ট করে ফেলি। তবে ভবিষ্যতে আমার অবস্থা খুব খারাপ হবে। এই সব চিন্তা করেই আমি জৈব পদ্ধতিতে সব্জি চাষ করা শুরু করি।
বারসিকনিউজ.কম: জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক তৈরি, এটি কিভাবে শিখলেন?
আব্দুল মোতালেব: বারসিক নামের একটা সংস্থা থেকে আমি জৈব সার, জৈব বালাইনাশক ও কেচো কম্পোষ্ট তৈরির বিষয়ে একটা প্রশিক্ষণ পাই। তাদের কর্মীরা আমাকে অনেক সময় এই সার ও বালাইনাশক তৈরিতে সাহায্য করেছেন। হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে কি করতে হয়।
বারসিকনিউজ.কম: পরিবেশবান্ধব ও স্থায়িত্বশীল জৈব কৃষি চর্চার ক্ষেত্রে আপনার এলাকায় আপনি কি কি কাজ করছেন? সেটা যদি সংক্ষিপ্ত আকারে বলতেন।
আব্দুল মোতলেব: আমি প্রথমে কেচো কম্পোস্ট ও বালাইনাশক তৈরি করি ও ব্যবহার করে সুফল পাই। ব্যবহারের পর অতিরিক্ত যেটুকু ছিল তা একদিন বাজারে নিয়ে যায় বিক্রির জন্য। যখন বলতাম এটা জির (কেচো) দিয়ে তৈরি সার তখন অনেকে গুরুত্ব দিত না। বলতো কেচো দিয়ে কি সার বানানো যায় নাকি পাগলে পাইসে? তাই কেউ কিনতে চায় নাই। তারপর কয়েকজনকে বিনামূল্যে বিতরণ করি। যাদেরকে বিনামূল্যে বিতরণ করেছিলাম তারাই একদিন আমার বাড়িতে এসে আরও সার আছে কিনা জিজ্ঞেস করে। তারা বলল, আসলেই এই সার খুবই কার্যকরি যা আগে জানতাম না। এরপর একে একে অনেকে আমার কাছ থেকে সার কিনতে আসলো। পরবর্তীতে অনেকে এই সার তৈরি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করল। আমি এরমধ্যে আগ্রহী ১৭ জনকে নিজ হাতে কেঁচো কম্পোস্ট তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছি। বাজারের চা স্টলে ও আমাদের গ্রামে একটা পল্লী বিদুৎ সমিতি আছে সেখানে মাসে আমরা একবার বসি। যারা কৃষি কাজ করে তাদেরকে জৈব কৃষি চর্চা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এমনকি বিভিন্ন উচ্চবিদ্যালয় যেমন কৈলাতি ইউনিয়নের জনতা উচ্চবিদ্যালয়, পোগলা ইউনিয়নের উদয়পুর উচ্চবিদ্যালয়, সন্যাসীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও জৈবকৃষি চর্চা সম্পর্কে ক্লাস নিয়েছি। ডিএসকে ( দুঃস্থ স্বাস্থ কেন্দ্র) সংস্থার কয়েকটি জৈব সার ও বালাইনাশক বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছি। কলমাকান্দা আসার রাস্তায় একটা বরদল উচ্চবিদ্যালয় আছে সেখানে কোন গাছ গাছালি নেই। তাই সেখানে আমার নার্সারি থেকে বিনামূল্যে ৩০টি চারা নিজ হাতে রোপণ করে দিয়েছি।
বারসিকনিউজ.কম: আপনার এই কাজটাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোন দৃষ্টিতে দেখেন ?
আব্দুল মোতালেব:আমার পরিবারের সবাই আমাকে এ কাজে সাহায্য করে। আমার স্ত্রী ও আমার মেয়ে সব সময় আমাকে সাহায্য করে।
বারসিকনিউজ.কম: আপনার দেখাদেখি অন্যেরাও কি এমন কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে? অথবা কোন পরামর্শের জন্য কেউ আপনার কাছে আসে? আসলে আপনি তাদের কি পরামর্শ দেন?
আব্দুল মোতালেব: অনেকেই আমার দেখাদেখিদে এখন এ কাজটি করছে। আর যারা এ কাজ করছে তারা আমার সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছে। আগ্রহী কৃষকেরা বাড়িতে এসে আমার কাছ থেকে পরামর্শ নেয়। যারাই আসে তাদেরকে আমি জৈব পদ্ধতিতে সব্জিচাষ করলে কি কি উপকার হয় তা জানিয়ে দেই। যেমন, প্রথমত জৈব পদ্ধতিতে সব্জিচাষ করলে প্রথমত বিষমুক্ত সব্জি খাওয়া যায়, দ্বিতীয়ত মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকে, তৃতীয়ত কম খরচে সব্জি ফলানো যায়, চতুর্থত পরিবেশের উপর কোন বিরূপ প্রভাব ফেলে না। আর একটি কথা বলতে আমি কখনো ভূলে যাই না, তা হল আজ আপনারা আমার কাছ থেকে যা কিছু শিখে যাচ্ছেন তা অন্যের মাঝে ও প্রচার করবেন।
বারসিকনিউজ.কম-জৈব পদ্ধতিতে শাকসব্জি চাষ করার ফলে আপনার উৎপাদিত শাকসব্জি বাজারজাত করার ক্ষেত্রে কোন আলাদা সুবিধা পান কি? যদি পান সেটা কি রকম? সেটার কারণ কি?
আব্দুল মোতালেব:-হ্যাঁ অবশ্যই একটা বাড়তি সুবিধা পাই। যারা আমার কাছ থেকে একবার শাক সব্জি নিয়েছে তারা প্রতি বাজারে আমার শাক সব্জির অপেক্ষায় থাকে। বাজারে শাক সব্জি নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যায়। অনেক সব্জি বিক্রেতা বাজারে বসে শাকসব্জি বিক্রি করে কিন্তু আমার বসে বিক্রি করতে হয় না। বাজারে সব্জির খাচা নামানো মাত্রই বিক্রি হয়ে যায়। এর কারণ একটাই আমার শাকব্জিতে কোন ভেজাল নেই। রাসায়নিক সার, বিষ দিয়ে সব্জি করি না। তাই খেতেও সুস্বাদু । আর এখন অনেকেই জানে আমি জৈব পদ্ধতিতে সব্জি চাষ করি।
বারসিকনিউজ.কম- আপনি প্রথম প্রথম যখন জৈব কৃষি চর্চা সম্পর্কে অন্যের মাঝে প্রচার করতেন তারা বিভাবে সেটা গ্রহণ করতেন?
আব্দুল মোতালেব:-অনেকেই নিরুৎসাহিত করতেন, গুরুত্ব দিতেন না। কিন্ত যখন ব্যবহার করে জানতে পারলো তখন আবার অনেকেই আমার পরামর্শটাকে ঠিক বলে মনে করেন।
বারসিকনিউজ.কম:-আপনি আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন বলেছেন এখন নিজের কাজ নিজে করছেন, আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন সেই সাথে সামাজিকভাবেও মূল্যায়িত হচ্ছেন এ ক্ষেত্রে আপনার অনুভূতিটা যদি বলতেন।
আব্দুল মোতালেব:-আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করতাম। তাই অনেকেই আমাকে কোন দাম দিত না। এমনকি কোন অনুষ্ঠানেও দাওয়াত পেতাম না। এখন নিজে একটা কিছু করে আর্থিকভাবে কিছুটা উন্নয়ন করছি, বিভিন্ন সভা সেমিনার ও প্রশিক্ষণ করে দু’চারটা ভালো মন্দ কথা বলতে পারছি। তাই সামাজিকভাবে কিছুটা হলেও মূল্যায়িত হচ্ছি। এখন সমাজে আমারও একটা স্থান হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার খুবই ভালো লাগে।
বারসিকনিউজ.কম:- জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন, বিভিন্ন চারার নার্সারি করছেন, অন্যকে পরামর্শ দিচ্ছেন, এমন কি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও জৈব কৃষি চর্চা বিষয়ে প্রশিক্ষণ করাছেন। এতে করে আপনার সামাজিক অবস্থানটা কোথায় বা আপনার অর্জনগুলো যদি বলতেন?
আব্দুল মোতালেব:-আমার সামাজিক অবস্থান বলতে আগে কিছুই ছিল না। এখন সমাজে যেকোন কাজে, অনুষ্ঠানে ডাক দেয় এমনকি আমার বাড়ির এক কিলোমিটার দূরে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এর বাড়ি তিনিও আমাকে গুরুত্ব দেন, দাওয়াত দেন। আগে আমার কথা কেউ শুনতো না। এখন অনেকেই আমার পরামর্শ অনুসারে কাজ করে। আমার অর্জন এগুলোই। যেমন সামজিকভাবে মূল্যায়ন পাওয়া, জৈব কৃষি চর্চা ও নার্সারি বিয়য়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারা, আগে মানুষের সামনে কথা বলতে ভয় পেতাম এখন অনেক লোকের সামনেও কথা বলতে পারছি নির্দ্বিধায়। এছাড়া আর্থিকভাবেও উন্নয়ন করছি। ২০১৪ সালে পরিবেশ দিবসে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পরিবেশবান্ধব কৃষি চর্চায় অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার গ্রহণ করি।
বারসিকনিউজ.কম:- ভবিষ্যত নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি?
আব্দুল মোতালেব:- আমার ভবিষ্যত স্বপ্ন হল মেয়েটাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবো। নার্সারিটা আরো বড় আকারে করবো। নার্সারিতে কোন প্রকার বনজ বৃক্ষের চারা করবো না, যা করবো সব ফলজ বৃক্ষের চারা করবো। বর্তমানে আমার কেঁচো কম্পোস্টের উৎপাদন খুবই কম চাহিদার তুলনায়। তাই ভাবছি কম্পোস্টের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি গরুর ফার্ম করবো। কারণ গরু ফার্ম করলে একদিকে আমার কেঁচো কম্পোস্টের উৎপাদনও বৃদ্ধি হবে অন্যদিকে গরু থেকে দুধও বিক্রি করতে পারবো। আমার আশপাশের কৃষকদের নিয়ে একটা ক্লাব করবো। যার কার্যক্রম হবে কৃষির বিভিন্ন সমাস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জায়গাটা বের করা।
বারসিকনিউজ.কম:-সবশেষে সবার উদ্দেশ্যে আপনার যদি কিছু বলার থাকে…!
আব্দুল মোতালেব:-সবার উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই আপনারা পরিবেশবান্ধব কৃষি চর্চা করুন। আমাদের মা মাটিকে টিকিয়ে রাখুন। বিষমুক্ত ও ভেজালমুক্ত শাকসব্জি উৎপাদন করুন। নিজে বিষ মুক্ত খাবার খান, অন্যকেও খেতে সহায়তা করুন।
বারসিকনিউজ.কম: মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আব্দুল মোতালেব: আপনাকেও ধন্যবাদ।