আমরা নিরাপদ আবাসন চাই
ঢাকা থেকে পূজা রানী মন্ডল
বারসিক’র উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রায়ের বাজারের বাড়ৈইখালীতে ঢাকার রায়ের বাজার, হাজারীবাগ, বালুরমাঠ বস্তিসহ বিভিন্ন বস্তির নি¤œ আয়ের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে নগরের নি¤œ আয়ের মানুষদের জলবায়ু সংকট, আবাসন সমস্যা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, কাজের কম সুযোগ, পরিচয়হীনতা, নিরাপত্তা সমস্যা সমাধান বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।
আলোচনা সভায় ঢাকার ২৪ জন নারীনেত্রী ও ৩ জন পুরুষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বারসিকের সমন্বয়ক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সহযোগী সমন্বয়ক নাজমা আক্তার, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর পূজা রানী মন্ডল ও রুনা আক্তার, বস্তিবাসী অধিকার সূরক্ষা কমিটির (বিওএসসি) এর সভাপতি হোসনেয়ারা বেগম রাফেজা এবং বিওএসসি এর সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বারসিক’র সমন্বয়ক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশি^ক সমস্যা। ধনী দেশগুলোর বিভিন্ন বিলাসী এবং অধিক কার্বননির্ভর জীবনযাপনের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর প্রভাব পড়ছে আমাদের মত দরিদ্র ও ছোট দেশের উপর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছাস আমাদের উপকূলীয় জনমানুষের জীবনকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও নানান ধরনের নতুন নতুন ভাইরাস রোগের প্রর্দুভাব দেখা দিয়েছে এবং অনেক মাুনষ মারা যাচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং অধিক জনগোষ্টির কারণে এই নগরে জলবায়ুর প্রভাব বেশি দেখা দিচ্ছে। ফলে এই নগরে মৌলিক সেবা সমূহের সংকট দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এই বিরূপ পরিস্থিতিতে আমাদের টিকে থাকতে হবে। সকলকে পরিবেশের প্রতি সচেতন হতে হবে এবং আমাদের বেঁেচ থাকার জন্য টিকে থাকতে হবে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য আমাদের নগর কৃষি বা নগর সবুজায়ন করতে হবে।’
হেরুনা বেগম বলেন, ‘আমরা অনেক ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় থাকি। এখানে আমাদের কোনো নিরাপওা নেই। আমরা বস্তিবাসীতে যে অবস্থায় থাকি তা বসবাসযোগ্য না। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমরা নিরাপদ আবাসন চাই।’ রুনা বেগম বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে আমাদের মত দরিদ্র মানুষের কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না, ডাক্তার বা নার্স আমাদের কোনো কথা শুনেনা। আমরা আমাদের সুষ্ঠভাবে চিকিৎসা সেবার সুযোগ চাই।’
সরস্বতী বলেন, ‘আমরা অনেক লেখাপড়া করেও চাকরি পাই না। আমাদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়ালে অনেক ভালো হবে। বর্তমানে যে পরিমাণে গাছ কাটা হচ্ছে এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আগে হেলিকপ্টার দিয়ে সুন্দরবনে বীজ রোপণ করা হত। কিন্তু এখন তা দেখা যায় না। গাছ কেটে পরিবেশ ধবংস করছে। বর্তমানে অসুখ বিসুখ ও বেশি দেখা যায় ।’