অগ্রহায়ণ মানেই নবান্ন উৎসব
কলমাকান্দা, নেত্রকোণা থেকে অর্পনা ঘাগ্রা
নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় হওয়ায় কৃষকের ব্যস্ত সময় কাটে এখন ফসলের মাঠে। স্কুল, কলেজ ও রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে সকাল সন্ধ্যায় ব্যস্ততা বেড়েছে ভাঁপা ও পুলি পিঠা বিক্রেতাদের। নানান জাতের, নানান স্বাদের ও গন্ধের চাল দিয়ে কৃষাণীরা পরিবারের সদস্যদের জন্য তৈরি করছেন মুড়ি, মুড়কি, পায়েস, পিঠা ইত্যাদি। বর্তমানে হাইব্রিড জাতীয় একক ফসলের আধিপত্যের মাঝেও অগ্রহায়ণের ফসলে কিছুটা হলেও বৈচিত্র্যময় ধান ফসলের জাত খুঁজে পাওয়া যায়। সেই সাথে অগ্রহায়ণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে, কৃষকের কৃষি সংস্কৃতিকে এবং নবান্ন উৎসবকে। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও অগ্রহায়ণের ১ম দিনে কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে কৃষকের নবান্ন উৎসব। এতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক, ডিএসকে ও স্থানীয় সরকার প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করে।
মাঠের ফসল কর্তনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান। অতঃপর নতুন ধানের পিঠার স্টল পরিদর্শন শেষে বক্তব্য অনুষ্ঠানে বলেন, “নবান্ন মানেই নতুন ফসল ঘরে তোলা, নতুন ধানের পিঠা খাওয়া। এই চর্চাগুলো গ্রামীণ কৃষকদের ঘরে ঘরেই এক সময় নিয়মিভাবেই পালিত হতো।” তিনি আরো বলেন, “এই ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কারণে। অথচ এই সংস্কৃতিগুলো আমাদের ঐতিহ্য বহন করে। তাই সরকারিভাবেই এখন দিনটি উদ্যাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিগত বছরেও বাঙালির কৃষিভিত্তিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য আমরা পিঠা উৎসব করেছিলাম।”
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা কষি সম্প্রসারন অফিসার শাহজাহান কবীর, সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল সিদ্দিক, খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল হক ও স্থানীয় কৃষকগণ ।