টিকা নিলে গরু ছাগলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
রাজশাহী থেকে মো. জাহিদ আলী
‘গবাদি প্রাণীর টিকা দিই, সুস্থ প্রাণীর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করি’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে গোদাগাড়ী গোগ্রাম ইউনিয়নের বড়শী পাড়া গ্রামে গবাদি প্রাণীর টিকা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। বড়শীপাড়া আলোর পথে তরুণ সংঘ, গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও বারসিকের আয়োজনে গত ২৩ এপ্রিল টিকার ক্যাম্প আয়োজিত হয়। ক্যাম্পে ১৮২টি গরু, ১৫৭টি ছাগল ও ৫৬টি ভেড়ার টিকা দেওয়া হয়।
গবাদি প্রাণী সমৃদ্ধ গোগ্রাম ইউপির বড়শী পাড়া গ্রামে গত বছর ছাগলের পিপি ও বাদলা রোগে ১২টি ছাগল মারা যায়। এই বছর কৃষক আব্দুল মালেকের একটি গরু মারা যায়। প্রতিনিয়ত গবাদি প্রাণীর মারা যাবার বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে উদ্বিগ্ন করে তোলে। বড়শী পাড়া গ্রামের তরুণ সেচ্ছাসেবক দল আলোর পথে তরুণ সংঘের সদস্যরা তাদের গ্রামের এই সমস্যা সমাধানের জন্য গবাদি প্রাণীর টিকা ক্যাম্পের আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারা বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহায়তায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ করেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে গত ২৩ এপ্রিল ১৮২টি গরু, ১৫৭টি ছাগল ও ৫৬টি ভেড়ার টিকা প্রদান করেন।
টিকা প্রদান সম্পর্কে গোগ্রাম গ্রামের কৃষক বকুল মিয়া বলেন, “টিকা নিলে গরু ছাগলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। প্রতিবছর আমি আমার প্রাণীগুলোর নিয়মিত টিকা নিই।” অপর একজন গৃহিনী মানুয়ারা বেগম বলেন, “দুই মাস আগে আমার একটি ছাগল মারা গিয়েছিল। আমি তাই এখন থেকে নিয়মিত টিকা নিব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যার ধারাবাহিকতা আজ আমার ২টি ছাগলের টিকা নিলাম।”
গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদের বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা জুলফিক্কার আলী হায়দার বলেন, “ছাগলের পিপির ও বাদলা এই রোগটি এই এলাকায় দেখা যায়। এ রোগগুলো দেখা দিলে চিকিৎসা করার সময় কম পাওয়া যায়। যার ফলে গরু ও ছাগল মারা যায়। যারা নিয়মিত টিকা নেয় তাদের গবাদি প্রাণীগুলো ভালো থাকে।”
গ্রামাঞ্চলে প্রান্তিক অনেক পরিবারের আর্থিক উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন গবাদি প্রাণী পালন। এ প্রাণীগুলো নিরোগ রাখতে প্রয়োজন এগুলো লালন পালন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। একই সাথে গবাদী প্রাণী থেকে প্রাপ্ত দুধ, মাংস ভালো অবস্থায় পেতে হলে আমাদের প্রয়োজন এগুলোকে নিরোগ রাখা।