পানির ওপর চাপ কমাতে রবি শস্য চাষ বাড়াতে হবে
রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন
রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চল খরাপ্রবণ এলাকা। এই এলাকার জমিগুলো উঁচু নিচু হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা সব জমির এক নয়। বরেন্দ্র এলাকায় পানির সমস্যা নিরসনে খরা সহনশীল রবিশস্য চাষাবাদ করা হয়। ২ থেকে ৩টি সেচ দিলেই ফসল মাঠ থেকে ঘরে উঠে আসে। এই ফসল চাষাবাদে আর্থিক খরচ কম।
রবি শস্যে চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী বারসিক ৯ জন কৃষাণ ও কৃষাণীকে গত বছরের নভেম্বর মাসে রবিশস্য বীজ তথা গম, মুসুর, খেসারি বীজ প্রদান করে। প্রতিমাসে কৃষাণ ও কৃষাণীদের কাছ থেকে রবি শস্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ মাসে অস্বাভাবিক ২টি নিম্ন চাপ ও বৃষ্টি হয়ে গেছে। বৃষ্টির পরে কৃষাণ ও কৃষাণীদের কাছে রবিশস্য তথ্য নিতে গেলে তারা বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়ায় রবিশস্যর কোন সমস্যা হয়নি বরং ভালোই হয়েছে।’ বিলনেপাল পাড়া গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গমে রোগবালাই নাই; ভালো আছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরে গমের ফলন ভালোই হবে আশা করছি।’
বিলধর্মপুর গ্রামের কৃষক আজিজুল বলেন, ‘বারসিক’র সহযোগিতায় আমি খেসারি বীজ পেয়েছি ১৫ কাঠা জমিতে বপন করেছি। ফসলের বর্তমান অবস্থা খুবই ভালো। আমার খেঁসারি জমি থেকে আমি নিজে খেয়েছি ও প্রতিবেশী ২০ জনের সাথে খেঁসারি শাক বিনিময় করেছি। বর্তমানে জমির পাশে গিয়ে দাঁড়ালে মন ভরে যাচ্ছে। সবুজে ছেয়ে গেছে কোন জায়গা ফাঁকা নেই। ফলন ভালোই হবে আশা করছি।’ বিলধর্মপুর গ্রামের কৃষাণী মানোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমি ১০ কাঠা জমিতে মসুর বপন করেছি। বর্তমান অবস্থা ভালো আছে। ফলন আশানুরূপ হবে বলে আশা করছি। এবার ফসল উঠলে আমি নিজে বীজ সংরক্ষণ করে রাখবো। নিজে বেশি করে রবিশস্য চাষাবাদ করবো এবং অন্য কৃষক দের উৎসাহিত করবো।‘
বরেন্দ্র এলাকায় রবিশস্য চাষ খুবই লাভজনক চাষ। কৃষকেরা এর গুরুত্ব বুঝলে অবশ্যই রবিশস্য চাষ বৃদ্ধি পাবে। তাই আমাদের সকলকে রবিশস্য চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে।