বৈচিত্র্যতাই জীবন বাঁচাই
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে সত্যরঞ্জন সাহা
আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে হরিরামপুর উপজেলা পাখি লালন করি-পালক কমিটি, উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, আন্ধারমানিক স্বেচ্ছাসেবক টিম ও বারসিক’র উদ্যোগে নিরাপদ খাদ্য, খাল-বিল, প্রাণবৈচিত্র্য ও পাখি রক্ষায় উপজেলা হাসপাতাল থেকে উপজেলা পরিষদ র্যালি করে প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে পাখি মারা চলবেনা, খাল বিল রক্ষা করি, খাবারে বিষ ব্যবহার করা চলবেনা, পদ্মা নদীর প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা কর করতে হবে স্লোগান দিয়ে নিরাপদ খাদ্য ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় প্রচার করেন।
র্যালি শেষে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার, পালকের সদস্য দীপক ঘোষ, ভেটেনারি সার্জন ডাঃ আতিকুর রহমান, হরিরামপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সাজেদা চৌধুরী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ, হরিরামপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, বারসিক’র বিমল রায় এবং উপজেলার বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাগণ, স্বেচ্ছাসেবক, কৃষক-কৃষাণিদের অংশগ্রহণে হরিরামপুরে শোভা বর্ধনকারী গাছের চারা রোপণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সাজেদা চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গোলাম ছারোয়ার দীপক ঘোষ, সমাজ সেবক ডা. আতিকুর রহমান, আবুল বাশার সবুজ, জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, বিমল রায়, মিরাজুল ইসলাম শিমুল, কৃষাণি হাজেরা বেগম। আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়ই আমাদের বলে দিচ্ছে খাদ্য ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আমাদের প্রাণবৈচিত্র্য। এই প্রাণবৈচিত্র্যকে বাঁচাতে আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। গ্রামাঞ্চলে কৃষক-কৃষাণিগণ নিরাপদ খাদ্য তৈরি ও সংরক্ষণ করে কৃষি প্রাণবৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বর্তমানে খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে হুমকি মুখে।’
তারা আরও বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্যের জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। নিরাপদ খাদ্য সকল প্রাণের জীবন বাঁচাতে পারে তেমনিভাবে বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।’ অংশগ্রহনকারীগণ অঙ্গীকার করেন পাখি রক্ষায় প্রতিজন ২টি করে দেশী ফলের চারা রোপণ করবেন। নদী খাল-বিলের মাছ রক্ষা করতে রাসায়নিক সার ও বিষ ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করার সহায়ক হবে। পদ্মা নদীর প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করে, নদ্মা নদীর পাড়ের প্রান্তিক মানুষ সহজে বাঁচতে পারে ও প্রাণবৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।