!['অনাবৃষ্টিতে পুড়েছে কৃষাণীদের সবজি ও ফল](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2022/07/295671478_463959581782862_8889656830823222265_n-604x345.jpg)
‘অনাবৃষ্টিতে পুড়েছে কৃষাণীদের সবজি ও ফল
রাজশাহী থেকে আয়েশা তাবাস্সুম
বরেন্দ্র অঞ্চল একটি খরাপ্রবণ এলাকা। বছরের অধিকাংশ সময় এখানে বৃষ্টিপাত কম হয়। গ্রামের প্রান্তিক নারীরা বিকল্প পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে থাকে। তারা তাদের বাড়ির উঠান ও ফাঁকা জায়গায় সারাবছর কোন না কোন সবজি চাষ করেন। এ সবজি তারা নিজেদের পরিবারের পুষ্টির জন্য ব্যবহার করেন। বাড়তি সবজি প্রতিবেশীদের মধ্যে বিনিময় ও বিক্রিও করে থাকেন। এতে তাদের সংসারে আর্থিক সহযোগিতা হয়।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2022/07/294379833_2868210400153072_4832692342419122487_n-1024x768.jpg)
অনেক প্রান্তিক নারী বাড়তি সবজি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে সংসারের টুকিটাকি পণ্যসামগ্রি কিনেন। কিন্তু এবারের অতিরিক্ত খরার কারণে তারা তাদের সবজি গাছ বাঁচিয়ে রাখতে পারেননি। শ্রীমতি মায়া রানী দাস (৫৫ )বলেন, ‘এবারের আষাঢ়- শ্রাবণ মাসের খরার মতো খরা অনেক বছর পর হয়েছে। প্রায় ২০-৩০ বছর আগে একবার এমন খরা হয়েছিলো। এবারের খরার কারণে অনেক কৃষাণীর সবজি চারা থেকে শুরু করে সবজির গাছ ও পুড়ে মরে গেছে।’
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2022/07/295671478_463959581782862_8889656830823222265_n-1024x768.jpg)
তিনি আরও বলেন, ‘চাল কুমড়া খুব কম যত্নে ও খুব কম পানিতে চাষ করা যায় সেই চালকুমড়ার গাছও এবার খরার করণে মারা গেছে। ডালিম, পেয়ারা, লেবু ইত্যাদির কুড়ি অতিরিক্ত তাপে ঝরে নষ্ট হয়ে গেছে। যে সকল সবজি গাছ বেঁচে আছে সেই গুলোতে সবজি ধরেনি।‘ এবারে অতিরিক্ত খরার কারণে অনেক সবজির ফলন কমে গেছে। পানি সেচ করেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি অনেক ধরনের সবজির বীজ রোপণ করলেও তা থেকে চারা গোঁজাইনি । তবে একটু বৃষ্টি হলে আমরা সবাই আবার সবজি চাষ শুরু করবো বীজ রোপণ করবো। আমরা সবাই বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি।