ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করুন
রাজশাহী থেকে মো. জাহিদ আলী
প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী ২টি প্রত্যয় এর নাম হলেও এই দুটি শব্দ দ্বারা সমাজের এমন মানুষদের নির্দেশ করে যারা বেশির ভাগ সময় অন্যের সাহায্য নিয়ে বেঁচে থাকে। প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের সমাজে প্রাপ্ত অধিকার নিশ্চিতকরণে তানোর উপজেলার মোহর গ্রামের মোহর স্বপ্ন আশার আলো সংঘের সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর যৌক্তিকতায় জনসংলাপ এর আয়োজন করে। বারসিকের সহায়তায় গতকাল তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ২০১৮/১৯ অর্থবছরের বাজেট অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন তরুণেরা।
তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ২০১৮/১৯ অর্থবছরের জন্য এক কোটি ২৬ লাখ ২১ হাজার ৬শ’ ৪৩ টাকা বাজেট ঘোষণা করে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট উপস্থাপন করেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রাসেল রহমান। উন্মুক্ত বাজেট অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। বাজেট সভায় আগত দেউল গ্রামে বাসিন্দা সাবিনা বেগম ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেন গত কতজন প্রবীণ ভাতা পেয়েছে এই বছর আর কত জন এই ভাতা পাবে। ইউপি চেয়ারম্যান জানান, গত বছর তারা ২৬৩ জনকে প্রবীণকে ভাতা দিয়েছিলেন। এই বছর তারা ৫২২ জনকে ভাতা দিয়েছেন বলে চেয়ারম্যান জানান।
দেও কালনা গ্রাম থেকে আগত আর একজন গৃহিনী চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান ‘প্রতিন্ধী ভাতা বিষয়ে জানতে চাই, এই ভাতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ কোন ভূমিকা পালন করবেন কি? এর উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর আমরা ৩২ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েছিলাম, এ বছর আমরা ১৬৭ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়েছি।”
চেয়ারম্যান আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদের যে বাজেট করা হয় তা দিয়ে সকলকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে যেসব ব্যক্তি যে সুবিধা পাবার ক্ষেত্রে বেশি যোগ্য তাকে নির্বাচনের মাধ্যমেই সকল প্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা আছে এ বছর আমরা প্রায় ৩০০ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দিতে চেষ্টা করব। আর প্রবীণ ভাতা সরকারি সুযোগ ও সুবিধার ভিত্তিতে যত বেশি দেয়া যায় তার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।”
প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের সেবায় এগিয়ে আসুক সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ, তবেই নিশ্চিত হবে তাদের নায্য অধিকার।