ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে
রাজশাহী থেকে ব্রজেন্দ্র নাথ
নবীন ও প্রবীণের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করে গ্রামীণ খেলাধূলাগুলো। কিন্তু দিনে দিনে তা কমে যাবার কারণে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সম্পর্ক কমে গেছে। মানুষের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ বেড়ে গেছে। আন্তঃসম্পর্কের কমতি দেখা দিয়েছে। কিন্তু এখনো কিছু তরুণ আছে, প্রবীণ আছেন যারা এই সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তেমনি এক আয়োজন করে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার, দর্শন পাড়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া ডাঙ্গা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন।
বারসিক এবং উক্ত সংগঠনের যৌথ আয়োজনে সম্প্রতি হা ড ুডু খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তেঁতুলিয়া ডাঙ্গা গ্রামটিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সর্ম্পকে আনসার ভিডিপি সংগঠনের সদস্য মো. আফজাল হোসেন (৫২) বলেন, ‘আমার বয়স যখন ২০ বছর তখন দেখতাম এই গ্রামের ছেলেমেয়েরা ফুটবল ও হা ডু ডু খেলতো। তবে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ থাকার কারণে দিনে দিনে হাডুডু খেলাটি হারিয়ে যাচ্ছে। এই খেলা টিকিয়ে রাখার জন্য আনসার ভিডিপি সংগঠনটি প্রতিবছর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হাডুডু খেলাটি পরিচালনা করে আসছে।’
নবীন ও প্রবীণ মধ্যকার হাডুডু খেলাটি পরিচালনা করেন রাজশাহী বিভাগের নামকরা হাডুডু রেফারী মোঃসালমান মাস্টার (৫৫) এবং এই খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার তুলেদেন তেঁতুলিয়া ডাঙ্গার প্রবীণ ব্যক্তি মো. সাজিদুল (৬২)।
খেলার আয়োজক জানান, আজকের তরুণ ও তরুণীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি, খেলাধুলা ও বাড়ির কাজে ব্যস্ত থাকলে নেশা ও খারাপ কাজে লিপ্ত হতে পারবে না। তাতে করেই ছেলেমেয়েরা সুন্দরভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতা আয়োজনের কারণে এলাকায় দিন দিন এই খেলাটি তরুণদের মাঝে বেশ সাড়া পড়েছে। এই খেলাটি শীত মৌসুমে বেশি হয়ে থাকে। কারণ শীতের সময় ঠান্ডা বেশি থাকে। ঠান্ডার সময় এই খেলাটি খেললে পরে শরীরটা বেশ গরম হয় যা খেলার উপযোগী হয়।