সবজি চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনেন ওবিয়া বেগম
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
ওবিয়া বেগম। তাঁর স্বামীর নাম জিয়ারুল। বস্তিতে পরোটা বিক্রি করেন তিনি। ২২ বছর থেকে নামোভদ্রায় বাস করছেন। দুইজনেরই বসতবাড়ি ছিলো সৈয়দপুর। তবে বন্যায় সব হারিয়ে জীবিকার জন্য এই রাজশাহী শহরে আসেন তাঁরা। তাদের ৩ ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। আর ২ ছেলের মধ্যে একজন ৩য় শ্রেণীতে পড়ে, আরেকজন ৫ম শ্রেণীতে।
করোনার শুরুর দিকে তাদের আয় বন্ধ হয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছিলো তাঁদের। যেখানে পেট চালানোয় দায় হয়ে যায় সেখানে টাটকা সবজি কিনে খাওয়াতো বিলাসিতা। এ সময় বারসিক’র পরামর্শে ও বারসিক’র দেয়া বীজ নিয়ে ওবিয়া বেগম তাঁর বসতবাড়ির সামান্য জায়গার সঠিক ব্যবহার করে সবজির ফসল ফলাতে শুরু করেন। সবজি ফলানোর পর থেকে তাদের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো হলো। সবজি কিনতে হয়না তাদের এবং বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে আয়ও করেন ওবিয়া বেগম। বর্তমানে তাঁর সবজি বাগানে পেঁপে, পুই, লেবু, বেগুন, করলা, লাউ রয়েছে।
ওবিয়া বেগম জানান, সব সবজি আর কিনে খেতে হয়না, নিজেদের চাষ করা সবজি থেকে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। ফলন ভালো হওয়ায় তা বাজারে বিক্রি করে লাভবানও হয়েছেন্। এই মে মাসেই সাড়ে তিন হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি সংসার খরচ ও ছেলেদের বই, খাতার খরচ বহন করেছেন। এর আগের বছরেও তিনি সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এবছর লাউয়ের ফলন ভালো হওয়ায় তিনি খুব খুশী। তিনি এখন সবাইকে সবজি চাষে উৎসাহ দেন।