শ্যামনগরে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ুন্যায্যতা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব বিষয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে বিশ্বজিৎ মন্ডল ও চম্পা মল্লিক
বারসিক’র উদ্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলের শ্যামনগরে সম্প্রতি তিনদিন ব্যাপি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপকূলীয় এলাকার সকল স্টাফবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় মূল সহায়কের ভূমিকা পালন করেন বারসিক’র কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব সেলের পরিচালক এবিএম তৌহিদুল আলম ও সহযোগী হিসাবে ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা মফিজুর রহমান, প্রতিমা রানী চক্রবর্তী, চম্পা রানী মল্লিক ও বাবলু জোয়ারদার।
প্রশিক্ষণের শুরুতে শুভেচ্ছা ও স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কর্মশালার শুভ সুচনা করেন ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার। এবং কর্মসূচি ও প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন মূল সহায়ক এবং কর্মএলাকার প্রত্যেক স্টাফের বারসিক কাজ করতে গিয়ে কি ধরনের ভূমিকা বা অবদান রেখেছেন তার একটি করে উদাহরণসহ কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব কিভাবে অর্জন হচ্ছে তা উপস্থাপন করেন।
আলোচনার ২য় দিনে প্রশিক্ষণার্থীরা ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের সরমা রানীর বাড়ি, আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপোট গ্রামের পারুল রানী বৈদ্য এবং ইশ^রীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট গ্রামের অল্পনা রানী মিস্ত্রির বাড়ির কৃষি ফসল, কি ধরনের কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা হচ্ছে, বাড়িতে কি ধরনের সম্পদ বা উপাদান আছে তার তালিকা, প্রত্যেকটা উপাদানের সাথে আন্তঃসম্পর্ক, নির্ভরশীলতা, এবং তাদের বাজার নির্ভরশীলতা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। কৃষকের বাড়িতে উৎপাদিত ফসল, ফল, মাছ, মাংস, শাক কুড়ানো, দুধ দোহন, তরকারী কাটা এবং রান্না করে কৃষকের সাথে সারাদিন অতিবাহিত করা হয়। পাশাপাশি একটি শিখন কেন্দ্র তৈরি ও সমুদ্ধী করতে কি ধরনের চর্চা বা উপকরণ প্রয়োজন তার তালিকা তৈরি করা হয়।
প্রশিক্ষণের শেষ দিনে কৃষকের বাড়ি থেকে সংগৃহীত তথ্যের বিশ্লেষণ করা হয় এবং আরো কোন কোন বিষয় থাকলে একটি আদর্শ কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্র তৈরি হবে সে বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশযালায় মূল সহায়ক এবি এম তৌহিদুল আলম বলেন, ‘যত বেশি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা হবে তার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হবে। আমাদের শিখন কেন্দ্রগুলো আরো সমৃদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ো যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’