প্রকৃতি সুরক্ষায় সবুজ সংহতি

সত্যরঞ্জন সাহা, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ
বারসিক’র উদ্যোগে গতকাল হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস হল রুমে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন হরিরামপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা নেপাল হালদার। কর্মশালা শেষে আহবায়ক চৌধুরী আওলাদ হোসেন বিল্পব যুগ্ম আহবায়ক জিসান রহমান স¤্রাট ও আন্ধারমানিক মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সকারি শিক্ষক শুভ্রা রায় এবং সদস্য সচিব প্রোগ্রাম অফিসার সত্যরঞ্জন সাহাসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা সবুজ সংহতি কমিটি গঠন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় ও সবুজ সংহতি প্রতিবেদন পাঠ করেন প্রোগ্রাম অফিসার সত্যরঞ্জন সাহা।


কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ তৌহিদুজ্জামান খান, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক, আন্ধারমানিক মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শুভ্রা রায়, গোলাম মনির হোসেন মহিলা কলেজ প্রভাষক জিসান হোসেন, যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছালমা আক্তার লিসা, কবি ও সামাজিক ব্যক্তি বিনয় কর্মকার, নটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, বয়ড়া ভাটিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান চাতক, চর কৃষক উদ্যেক্তা মোঃ মিঠু ও যাত্রাপুর কৃষক উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম, বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার নজরুল ইসলম ও মুকতার হোসেন প্রমুখ।


আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা সবুজকে আহবান করি। প্রকৃতিকে ভালো রেখে সকল প্রাণকে নিয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করতে চাই। এজন্য সকলে নিজ নিজ অবস্থানে সচেতন হয়ে অন্যের জন্য কাজ করব। প্রতি ব্যক্তি নিজে বাঁচবে অন্যকে ভালোভাবে বাঁচার জন্য সুযোগ করে যাবে।’ তাঁরা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা করার মাধ্যমে অন্যকে শিখানো ও নিজেরা ভালো থাকার প্রতি গুরুত্ব দেন। তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের আরামপ্রিয়তা ও লোভি মনোভাব পরিহার করে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য গোবর সার দিয়ে চাষ করব। আমাদের নিজেদের মাটাইলে বর্ষা মৌসুমে দেশী মাছ পাওয়া যায়। আমরা কিছু মাছ মারলে কিছু মাছ সংরক্ষণ করলে দেশীয় মাছের অভাব পড়বে না। মাছগুলো ডিম দিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে যাবে। প্রাণ ও প্রকৃতিকে সুরক্ষার জন্য আমাদের সকলের বাস্তবভিক্তিক কাজ করতে হবে।’


বক্তারা বলেন, ‘রাসায়নিক নয়, প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা চাষবাস করতে পারি, মাটি, পানি, বায়ু ভালো থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। প্রকৃতি ভালো থাকলে আমরা সকল প্রাণের খাবারসহ ভালো থাকতে পারব। কৃষক বীজ সংরক্ষণ করে কম খরচে চাষাবাদ করতে পারি। কোম্পানির উপর নির্ভরশীল নয়, কৃষকনির্ভর কৃষি আমরা দেখতে চাই। আমরা নিজেরা সচেতন হয়ে পলিথিন নয়, পাটকে ব্যবহার করা অঙ্গীকার করছি সবাই। তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা টিস্যু ব্যবহার করি, গাছকে ধ্বংস করি। টিস্যু ব্যবহার পরিহার করব। আমরা অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার করি। কেন আমরা জেনেশুনে এটা করি? আমাদের সচেতন হয়ে সবুজ পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। প্রাণ ও প্রকৃতিকে ভালোবেসে সকলে আমরা মানুষ আরো সভ্য ও সচেতন হবো।’

happy wheels 2

Comments