সরকারি-বেসরকারি সেবা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি
সাতক্ষীরা, শ্যামনগর থেকে বিশ্বজিৎ মন্ডল
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি-বেসরকারি সেবায় প্রবেশাধিকার এবং সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সংশি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে সু-সম্পর্ক স্থাপনে এবং জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতা নিশ্চিৎকরণে সংলাপ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।
বারসিক’র উদ্যোগে এবং উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবী জনসংগঠনের আয়োজনে সংলাপ ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সবুজ সংহতির সদস্য কৃষক হাবিবুর রহমান।
বারসিক কর্মকর্তা বিশ^জিৎ মন্ডলের সঞ্চালনায় এবং সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার এর শুভেচ্ছা বক্তব্যে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার প্রতিনিধি মোছাঃ সাবরিন সুলতানা, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক সামিউল আযম মনির, শিক্ষক ও সাংবাদিক রনজিৎ বর্মণসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পেশাজীবী জনংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কি ধরনের সেবা প্রদান করেন, সেগুলো স্থানীয় জনগোষ্ঠী কিভাবে পেতে পারে, কি মাধ্যমে পেতে পারে সে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং জনগোষ্ঠীর সমস্যা জানান চেষ্টা করেন।
সরকারী কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা প্রাণীসম্পদ উন্নত জাতের প্রাণী সম্পদ বিতরণ, টীকা প্রদান, উন্নত জাতের ঘাস এবং প্রাণীসম্পদের পালনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সহায়তা এবং আমদানি রপ্তানির অনুমোদন সার্টিফিকেট প্রদান, স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, দুর্যোগকালীন সহায়তাসহ মাছ-মাংস- দুধ এবং ডিম উৎপাদন বিষয় বিভিন্ন কার্যক্রম, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির মাধ্যমে সমাজসেবা দপ্তর বিভিন্ন ভাতা প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদান, মাতৃঋণ, শিশু সুরক্ষা, এতিম ও দুঃস্থ শিশুদের ভরণপোষণ, সংগঠনভিত্তিক ঋণ এবং সংগঠনের উন্নয়নমুলক কাজে আর্থিকভাবে সহায়তা চলমান রেখেছে।
তারা আরও জানান, কৃষি অফিস ভর্তুকি দিয়ে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকের উন্নয়ন এবং জৈব পদ্ধতিতে ফসল চাষবাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়ন, শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কর্মসূচি, নারী সংগঠন নিবন্ধন, গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টি নিশ্চিৎকরণে ভাতা, হাতের কাজের প্রশিক্ষণ, আর্তকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ ইত্যাদি।
অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক রনজিৎ বর্মণ বলেন, ‘উপকূলীয় কৃষক-কৃষাণীরা নানান ধরনের উদ্যোগ ও কৌশল গ্রহণ করে থাকে। তাদের সফল এই চর্চাগুলো আমরা কলমের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই, যা অন্যদের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে।
অংশগ্রহণকারী জনসংঠনের প্রতিনিধিরা জানান, আমরা সবাই এক একটা সংগঠনের প্রতিনিধি। আমাদের জন্য সরকারিভাবে অনেক সুযোগ সুবিধা থাকলেও আমরা সে সম্পর্কে অবগত নই। আমাদের প্রত্যেক সেবাদানকারী প্রতিষ্টানের সেবা সম্পর্কে জানতে হবে। আজ আমরা সেবা সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছি, যা আমরা সংগঠনের সদস্যদের অবগত করবো এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহন করবো।