সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন
মানিকগঞ্জ থেকে নজরুল ইসলাম
“নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াই, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর চাপ কমাই”, “জ¦ীবাশ্ম জ্বালানি হবেই শেষ, সূর্য্যরে আলো হবে না নিঃশেষ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বারসিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক গবেষণা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছে।
বারসিক তার কর্ম এলাকাসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দরিদ্র জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতসহ জ্বালানি সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ও ঘিওর উপজেরার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে নবায়নযোগ্য খাতে বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে ইউপি ও গ্রাম পর্যাযে জনসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও সবুজ জ্বালানি ব্যবহারে তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব বিষয়ে খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজে সবুজ জ্বালানি ও জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহারে সচেতনতা মুলক সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে পরিবেশবাদী আন্দোলনের সংগঠক এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে র্যালীর উদ্বোধন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনজুর মুহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় সরকার যেমন নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে তেমনি নাগরিক হিসেবে আপনাকে আমাকে জ্বালানি ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে, মনে রাখতে হবে জীবাশ্ম জ্বালানির মজুদ অফুরন্ত নয় অচিরেই এই ভান্ডার ফুরিয়ে যাবে। তাই এখন হতেই একদিকে এটি ব্যবহারে সাশ্রয়ী এবং বিকল্প জ্বালানি তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়।
তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলার সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন কচি বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের গবেষণার আগে থেকেই সভ্য দেশ জার্মান, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশ ইতেমধ্যে ব্যবহার শুরু করেছে এবং জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে নাগরিক নিজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশে যে পরিমাণ বিকল্প জ্বালানির কাঁচামাল রয়েছে পৃথিবীর কোন দেশেই তা নেই। বিশেষ করে সূর্য্যরে আলোর আধিক্য আমাদের দেশে বেশি সেটিকে কিভাবে ব্যবহার করব সেটি হলো এই প্রজন্মের গবেষণার বিষয়, আমি বিশ্বাস করি সরকারের গৃহীত নীতিমালার সাথে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারলে আমরা সফলকাম হব।” জেলা রোভার্স এর সাধারণ সম্পাদক সরকার মুহাম্মদ মাসুদ বলেন, “জ্বীবাশ্ম জ্বালানি শেষ হবে এটি নিয়ে কোন বিতর্ক নেই বলে আমি মনে করি তাহলে সংকট মোকাবেলায যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হয় তাহলে আমরা শুধু অফগ্রিড এলাকার বা দরিদ্র মানুষকে ব্যবহার করতে বলব কেন? আমার মতে আগে সচেতন মহল এবং উচ্চ বিত্তশালী মানুষদেরকে সরকার এই জ্বালানি ব্যবহারে বাধ্য করবে আর সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ এর পাশাপাশি সোলার হোম ব্যবহারে বাধ্য করতে হবে।
তারুণ্যের আলো যুব সংগঠন এর জেলা আহবায়ক মো. আতিকুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মো. রমজান আলী, সদস্য পাপ্পু মিয়াসহ প্রমুখ ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ হয়ে প্রায় ১৮ কিলোটিার ঘুরে প্রেসক্লাবে সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বারসিক সহযোগী গবেষক মো. নজরুল ইসলাম।