শিফার স্বপ্ন

রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
রাজশাহীর নামোভদ্রা বস্তির মেয়ে শিফা। সে এখন স্বপ্ন দেখতে শিখেছে হাতের কাজের মধ্য দিয়ে। কিশোরী এই মেয়েটির ছোটতেই বিয়ে হয়ে যায় । স্বামী দিন মজুর । সংসারের কাজের ফাকে সে এখন একটু একটু স্বপ্ন গড়তে শিখছে। স্বপ্নগুলো যেন কাঁথার সেলাইয়ের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে।


শিফা বলে বারসিক’র অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বিলনেপাল পাড়ার সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে অনেককিছু জেনেছে ও শিখেছে। অন্যেও ভালো কাজ দেখে আমি অনুপ্রাণীত হয়েছি।’ মূলত সেই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর থেকেই তার মনে একটি সুন্দও স্বপ্ন উঁকি দেয়। সেলাইয়ের মাধ্যমে সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি পায়। এরপর থেকে শিফা কাথা সেলাইয়ের পরিকল্পনা করে। শিফা আরো জানায়, প্রথমে তার পরিবারের জন্য কাঁথা সেলাই করে। এরপর এই কাজ সে আরও সম্প্রসারিত করে। অন্যেও জন্যও কাঁথা সেলাই করতে শুরু করে। এভাবে দিনে দিনে সে আয় করতে সমর্থ হয়, যা সংসারের কাজে বেশ কাজে দিয়েছে।


শিফা আরও কাজ শিখতে চায়। যাতে করে দক্ষ হয়ে আরও ভালো কাজ করতে পারে এবং সংসারে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে পারে। শিফার মতো মেয়েদের একটু উৎসাহ আর ভালোবাসা দরকার। এই উৎসাহ ও ভালোবাসা তাদেরকে অনেক দূরে পৌছাতে পারে স্বপ্ন দেখার কোনো বয়স হয় না।
স্বপ্নই তো মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। উলেখ্য যে, গত ২২ শে ডিসেম্বর ২০১৯ বারসিক’র উদ্যোগে শহরের প্রান্তিক নারীদের নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে হাতের কাজ সুই-সুতার কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময় হয় নামোভদ্রা বস্তি এবং বিলনেপাল পাড়া নারী উন্নয়ন সংগঠনের মাঝে।

happy wheels 2