অধিক কার্বন নিঃসরণ দেশগুলোকে লালকার্ড প্রদর্শন

ঢাকা থেকে রুনা আক্তার
রাড়ৈইখালী তৃনমূল উন্নয়ন সংগঠন এবং বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র উদ্যোগে গতকাল হোজারীবাগ এলাকায় এক মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে মানববন্ধনে অধিক কার্বন নিঃসরণ দেশগুলোকে লালকার্ড প্রর্দশন করা হয়। বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির নেত্রী হোসনেয়ারা বেগম রাফেজার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ৬৪ জন নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।


মানববন্ধনে বস্তিবাসী অধিকার সূরক্ষা কমিটি সভাপতি হোসনেয়ারা বেগম রাফেজার বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। জলবায়ুর পরির্বতন আমাদের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। কার্বন নিঃসরণ করবার কাজটি নিয়ে যত বেশি সময়সাপেক্ষ হবে, জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি তত বেশি মোকাবিলা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদী ভাঙ্গন, অতিবন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, লবণাক্ততা ও সাইক্লোন ইত্যাদি দুর্যোগের কারণে আমরা কিছুই হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে বাধ্য হয়েছি শহরে আসতে। এখানে আমরা কোনোরকমে বেঁচে থাকার জন্য বস্তিতে থাকতে শুরু করি। বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি।’


রাড়ৈইখালী তৃনমূল উন্নয়ন সংগঠনের সদস্য সুরুজ বলেন, ‘জলবাযু পরিবর্তনের কারণে অনাবৃষ্টি, খরা, অনেক গরম ও ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হচ্ছে। এই সকল দূর্যোগ আমাদের সাধারণ মানুষকে পোহাতে হয়। আমরা ধনী রাষ্ট্রগুলোকে বলতে চাই আপনারা বায়ু দূষণ বন্ধ করুন এবং জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণ আমাদের দিতে হবে।’


বারসিক’র সহযোগী সমন্বয়ক নাজমা আক্তার বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান দুইটি পদার্থ কয়লা ও ডিজেল। এই দুইটি পদার্থ ব্যবহার এখন পৃথিবীতে সব থেকে বেশি। ফলে কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে মারাত্মকভাবে। এই কয়লা আর ডিজেল সর্বাধিক ব্যবহারের ফলে আজ ভয়াবহ এই দূর্যোগ বিশ্ববাসীর সামনে দেখা দিয়েছে। কার্বন নিঃসরণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু। কার্বন ওজোন স্তরকেও দূর্বল করে দিচ্ছে দিন দিন। ওজোন স্তর যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের শৃঙ্খলিত নিয়ম ভেঙ্গে যাবে।’


বারসিক’র কমিউনিটি ফ্যামিলিটেটর রুনা আক্তার জানান, অধিক কার্বন নিঃসরণের কারণে জলাবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। এই কার্বন কিন্তু ধনী দেশের মানুষেরা বেশি নিঃসরণ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা দায়ি না হলেও ক্ষতিগ্রস্ততার শিকার বেশি হচ্ছি আমরা। তাই আমরা ধনী দেশগুলোর কাছে আমাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করি।’
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সবাই একে একে অধিক কার্বন নিঃসরণ দেশগুলোকে লালকার্ড প্রদর্শন করেন। মানববন্ধনে বারসিক’র সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা হেনা আক্তার রুপা এবং কমিউনিটি ফ্যামিলিটেটর পূজা রানী মন্ডল বক্তব্য রাখেন।

happy wheels 2

Comments