সাম্প্রতিক পোস্ট

কবিতা স্মরণে বৃক্ষরোপণ

মানিকগঞ্জ থেকে নজরুল ইসলাম

পৃথিবীর আদি ইতিহাস থেকে জানা যায, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের বসবাস এর জন্য সৃষ্টির আদিসৃষ্টি হলো গাছ বা বৃক্ষ। গাছের জীবন আছে এটিও মানুষ জানতো না । বিংশ শতাব্দিতে বিজ্ঞানী জগদিশ চন্দ্র বসুর মাধ্যমে জগতের DSC03824মানুষ জানতে পারলেন গাছের জীবন আছে। গাছ মাটির নিচে তার মূল ও শেকড় দিয়ে জড়িয়ে রাখে মাটিকে এবং পানি শোষণ করে পাতার মধ্যে ক্লোরোফিল ও সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করে। গাছ প্রকৃতি থেকে মনুষ্যসৃষ্ট কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং মানুষকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়াও রয়েছে গাছের বহুমুখী গুণাগুণ। বিভিন্ন প্রকারের গাছের মধ্যে ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ রয়েছে। প্রাকৃতিগতভাবে গড়ে উঠা বনকে আমরা প্রাকৃতিক বন বলি। যেমন সুন্দরবন, পাহাড়ি ও সমতল ভূমির বন। মানুষের নিজস্ব তৈরি ও সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি বনকে সামাজিক বনায়ন বলি। একটি দেশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা দরকার কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমানে ১৭ ভাগ বনভূমি রয়েছে।

DSC03799
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় বানিয়াজুরি ইউনিয়ন এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ভুবেনেশ্বর নদীর নামে গড়ে উঠা গ্রাম ভুবেনেশ্বর। এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রকৃতিপ্রেমী কবি ডা. আবুল হাসান। তিনি বৃক্ষকে ভালোবাসেন। বিশেষ করে ফলজ গাছ রোপণ তার আন্দোলনের প্রধান বিষয়।

গত ১৫ জুন ভূবনেশ্বর গ্রামে মরহুম নুর”ল ইসলামের বাড়িতে সাদা মনের মানুষ মীর আবুল হোসেন স্মৃতি সংসদ এর আয়োজনে বারসিক এর সহযোগিতায় প্রকৃতিপ্রেমী কবি ডা. আবুল হাসান এর আলোচিত “তন্দ্রা” কবিতা স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে কবি ডা. আবুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট পরিবেশবাদী আন্দোলনের সংগঠক DSC03822স্যাক এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. দিপক কুমার ঘোষ বলেন, “আজকের বৃক্ষদাতা কবি ডা. আবুল হাসান তার গ্রাম থেকে এ্ কর্মসূচি শুরু করলেন এবং বারসিক এর মাধ্যমে চারাগুলো রোপণ তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। এটি আমরা আগামী এক বছর পর দেখব কতগুলো চারা জীবিত আছে।” তিনি আরও বলেন, “এই চারাগুলো প্রকৃতি এবং মানুষকে কি পরিমাণ অক্সিজেন ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে উপকার করবে সেটি হিসাব করে শেষ করা যাবে না। এই মহান কাজ এ এলাকার মানুষ যুগে যুগে মনে রাখবে।”

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, রাষ্ট্রীয় পদকপ্র্প্তা কৃষক মো. বাবর আলী, পীরজাদা মাওলানা কামরুল ইসলাম, ডা: সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা ইউসুফ আলী, মাওলানা আরিফ হোসেন, তরুণ সংগঠক দুলাল রাজবংশী, বারসিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও সুবীর সরকার প্রমুখ।

আলোচনা শেষে কৃষক-কৃষানী সংগঠনের মাঝে চারা বিতরণ করা হয় এবং চারাগুলো রক্ষা করার জন্য সকলেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

happy wheels 2

Comments