![আসুন প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা করি](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2018/05/20180522_131818-604x345.jpg)
আসুন প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা করি
নেত্রকোনা থেকে রোখসানা রুমি
নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার কাইলাটি গ্রামের কিশোরী, গ্রামীণ নারীপুরুষ ও যুব সংগঠনের সদস্যরা ২২ মে গ্রামের কিশোরী যুব ও নারীদেও নিয়ে প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে। যুব ও কিশোরীরা তাদের গ্রামে নারী,পুরুষ, শিশু, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, প্রবীণ,কুমার কামার, নরসুন্দর যুব, শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক আলোচনা গাছ চেনা ও গাছ রোপণের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নেত্রকোনা অঞ্চলের প্রবীণ ব্যক্তি বৃক্ষপ্রেমিক সমাজসেবক কবিরাজ আ: হামিদ অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গ্রামের প্রবীণ নারী জায়েদা খাতুন, কবিরাজ আ. হামিদ, যুব প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও জয়। কিশোরী জেসমিন আক্তার গ্রামের একটি তথ্য তুলে ধরেন । তিনি জানান যে, গ্রামে ফলদ ও ঔষধি গাছ কমে গেছে। বনজ ও বিদেশি গাছের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ফলদ ও ঔষধি গাছ কমে যাওয়ার ফলে পাখি, মৌমাছি, প্রজাপতি কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব পরে আমাদের কৃষি ফলনের উপর, কৃষকের ফসলের উপর। আমরা বারোমাসি ফল খেতে পারিনা। তাই গাছের সাথে যেমন মানুষের গভীর সম্পর্ক তেমনি প্রাণীজগতের সম্পর্ক আছে। আমাদের বাঁচতে হলে আশেপাশের প্রকৃতি, গাছপালা, বনবাদার জলাশয় করার দায়িত্ব নিতে হবে।
জয় আহমেদ বলেন, “আজ থেকে আমরা প্রানবৈচিত্র্য রক্ষা করব। আমরা সবাই স্থানীয় জাতের ফলের ও ঔষধি গাছ লাগাব। সকল প্রান রক্ষা করব। প্রাণের প্রতি সকল সহিংসতা প্রতিরোধ করবো।”
আ. হামিদ কবিরাজ বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেই দুটি করে ঔষধি গাছ লাগাতে হবে। দুটি করে ফলের গাছ লাগাতে হবে। গাছ আমাদের জীবন ও জীবিকার উৎস। তিনি গ্রামের মানুষের কাছে ৪৫০টি ঔষধি গাছ বিতরণ করেন। তিনি ঔষধি গাছের গুনাগুন বর্ণনা করেন। যুব ও কিশোরদেরকে নিয়ে যান পাশের জঙ্গলে গাছ চিনানোর জন্য। তিনি স্থানীয় মসজিদে পরিচালনা পর্ষদের সাথে নিয়ে বিনামূল্যে ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ নারী পুরুষ, বারসিকের সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, কর্মকর্তা রোখসানা রুমি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কিশোরী সংগঠনের সদস্য জেসমিন আক্তার ।