পুষ্টি যোগানে ফাঁকা জায়গায় সবজি চাষ রোবেয়া বেগমের
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
রোবেয়া বেগম রাজশাহীর নামোভদ্রা বস্তিতে বসবাস করেন। বাসা বাড়িতে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর তিন মেয়ে। তিন মেয়ে পড়াশুনা করে। তাঁর বাসার আশেপাশে সামান্য জায়গা থাকলেও সেগুলো পতিত থাকে সারাবছর। অন্যের বাড়িতে কাজ করার কারণে সে পতিত জমিতে তিনি কোনকিছু আবাদ করেননি।
বারসিক’র সাথে পরিচিতি লাভের পর তিনি এই সংগঠনের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন। বারসিক কর্মীরা তার বসতভিটার যে জমিগুলো পতিত রয়েছে সেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আবাদ করার পরামর্শ দেন। বারসিক’র কমীরা তাঁকে জানান, এসব পতিত জায়গায় শাকসবজি চাষ করে তিনি যেমন সবজি চাহিদা ও পুষ্টি লাভ করতে পারেন ঠিক তেমনি আবাদকৃত সবজি বিক্রি করে তিনি বাড়তি আয়ও করতে পারেন।
বারসিক কর্মীদের পরামর্শে রোবেয়া বেগম তাঁর বাড়ির ফাকা জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করতে শুরু করেন। বারসিক’র কাছ থেকে এসব সবজির বীজ সংগ্রহ করেন। বারসিক’র দেয়া লাউ ও পুঁই শাকের বীজ লাগান প্রাথমিকভাবে। প্রাথমিকভাবে লাগানো সেই লাউ গাছ বড় হয়ে টিনের চাল ছড়িয়ে গেছে। পুঁই গাছও টিনে ছুই ছুই। রোবেয়া বেগম জানান, তিনি ইতিমধ্যে ৯টি লাউ তিনি বিক্রি করেছেন এবং সেখান থেকে তিনি সংসারের কাজে কিছু জিনিস ও মেয়ের খাতা কিনেছেন। রোবেয়া বেগম খুশি হয়ে বলেন, ‘আমি এখন থেকে আমার এসব জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করবো। আমাকে পরামর্শ ও বীজ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বারসিককে ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য যে, বারসিক তার কর্মএলাকায় কৃষাণী-কৃষাণীদের প্রতিটি ইঞ্চি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে আসছে। জমির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা সেখান থেকে শাকসবজি পেতে পারেন, পারিবারিক সবজি ও সবজির চাহিদা পূরণ করতে পারেন।