দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক খাত উন্নয়নে প্রাণবৈচিত্র্য
সিলভানুস লামিন
ভূমিকা
মানুষ ও অর্থনৈতিক কল্যাণে প্রাণবৈচিত্র্য এবং এ থেকে প্রাপ্ত পণ্য ও সেবাসমূহ যে ধরনের ভূমিকা রাখে সেগুলো প্রকাশিত হয় আমাদের বৃহত্তম উৎপাদন খাতগুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে মৎস্য, কৃষি, বনায়ন এবং পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে। তাই এই খাতগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং সুশাসন, বিশেষ করে জীবিকার জন্য স্থানীয় মানুষের প্রাণবৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশীয় পণ্য ও সেবাসমূহের ওপর নির্ভরতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে প্রাণবৈচিত্র্য থেকে মানুষ যে সেবা পাচ্ছে সেগুলোকে নিশ্চিত করা যায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তরান্বিত করা যায়।
বিশ্বে প্রতিটি মানুষের কল্যাণ মৌলিক এবং সরাসরিভাবে প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের দরিদ্র মানুষেরা বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের দরিদ্র মানুষেরা বলতে গেলে তাদের ৯০% দৈনন্দিন চাহিদাই তথা খাদ্য, বস্ত্র, জ্বালানি, ঔষুধ,আশ্রয় এবং পরিবহন ইত্যাদি প্রাণবৈচিত্র্য থেকে লাভ করে কিংবা বলা যায় এসব চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে তারা প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল। সব অঞ্চলের প্রতিবেশ-পরিবেশের অবস্থা, ব্যবস্থাপনা, এর প্রশাসন দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানব উন্নয়ন অর্জনের ক্ষেত্রে যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেগুলোর সফল ব্যবহারের কারণগুলোকে প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক অর্থনীতিসহ জাতীয় ও উপ-জাতীয় অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রাণবৈচিত্র্য এবং প্রাণবৈচিত্র্য থেকে প্রাপ্ত পণ্য ও সেবাসমূহের ওপর নির্ভরশীল। কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা, মৎস্য খাত, বনায়ন এবং পর্যটন ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্যভাবে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে এবং মজার বিষয় হচ্ছে এসব খাতের উন্নয়ন অ-মূল্যায়িত ও বিবেচনাহীন প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ তথা কৃষিজ পণ্য, কাঁচামাল, প্রতিবেশীয় পর্যটনের সেবাসমূহ রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। এসব প্রাণবৈচিত্র্যভিত্তিক সম্পদগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিশ্চিত করা হলে এসব সম্পদ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখে, ‘ধনীরা আর দরিদ্র হবে না’ নিশ্চিত করে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পথ বা উপায় বাতলে দিতে পারে।
কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা
উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশগুলোর জন্যই কৃষি হচ্ছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। এটি একদিকে যেমন মানুষের পুষ্টিকর খাদ্যের যোগানদার অন্যদিকে এটি শিল্পকারখানার জন্য কাঁচামালের উৎসও। কৃষি হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস এবং বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের খাত। এছাড়া কৃষি হচ্ছে এমনই একটি খাত যেখানে বিশ্বের দরিদ্র ও চরম দরিদ্র মানুষের সমাগম বা সম্পৃক্ততা সবচে’ বেশি। অন্যদিকে কৃষি মৌলিকভাবেই প্রাণবৈচিত্র্য এবং প্রাণবৈচিত্র্য থেকে প্রাপ্ত পণ্য ও সেবাসমূহের ওপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন প্রজাতির শস্য-ফসল, পশুপাখির বৈচিত্র্য এবং তাদের জেনেটিক বৈচিত্র্য কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলা যায়, এগুলোই হচ্ছে কৃষির মূলভিত্তি। শস্য-ফসলের জেনেটিক বৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের জন্য মানব সমাজকে বিভিন্ন উপাদান ও উপকরণ প্রদান করে। কৃষি ফসলের মাঠকে চারদিক থেকে বেষ্টন দিয়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির কেঁচো, ছত্রাক, মাটির ক্ষুদ্র উপাদান ও অণুজীব এবং উদ্ভিদ হচ্ছে বিভিন্ন পরিবেশ-প্রতিবেশ পণ্য ও সেবাসমূহের মূল যোগানদার।
প্রাণবৈচিত্র্য বিভিন্ন পরাগায়ন ও পুষ্টি উপাদান ক্রমাগতভাবে প্রদানের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রকে স্থায়িত্বশীল করতে সহায়তা করে। অতএব, যদি কৃষিখামারগুলোকে আমরা খাদ্য, আঁশ এবং জীবিকার স্থায়িত্বশীল উৎস হিসেবে দেখতে চাই কিংবা সেগুলোকে প্রাণবৈচিত্র্য বংশবৃদ্ধির অনুকূল আধার ও কার্বন মজুদ হিসেবে দেখতে চাই তাহলে এই খাতে আরও প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার পরিস্থিতিকে উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচনের জন্য স্থায়িত্বশীল কৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। স্থায়িত্বশীল কৃষিব্যবস্থায় পৃথিবীর সম্পদকে সীমিত না করে এবং পরিবেশকে কোনরকম ধ্বংস বা বিপন্ন না করেই খাদ্য উৎপাদন করা যায়। এছাড়া স্থায়িত্বশীল কৃষিব্যবস্থা গরিব ও ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, উন্নয়শীল দেশগুলোর জন্য বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করে এবং এটি কার্বনের মজুদ ও প্রতিবেশ পরিস্থিতিকে অগ্রগতি বা উন্নয়ন করে।
মৎস্য খাত
বিশ্বের তিন বিলিয়নের অধিক মানুষ জীবিকার জন্য সামুদ্রিক ও উপকূলীয় প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল; বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে মৎস্য চাষ একটি অন্যতম প্রধান জীবিকা ও বাণিজ্যিক কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে একটি হিসাবে দেখানো হয়েছে যে, বিশ্বের প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ (বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে) খাদ্যের প্রাথমিক উৎস হিসেবে মাছের ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে বিশ্বের মোট প্রোটিন চাহিদার ১৬% সামুদ্রিক মৎস্য খাত থেকে আসে। মৎস্য খাত হচ্ছে সারাবিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের উৎসও বটে। বিশ্বের ৩৮ মিলিয়ন মানুষ মাছ ধরার পেশার সাথে জড়িত। এছাড়া মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন। সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে অভিযোজন করার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রজাতিবৈচিত্র্য মৌলিকভাবে অবদান রাখে। মাছপ্রজাতির মধ্যকার বৈচিত্র্য অবশ্য প্রাকৃতিকভাবে মাছের মজুদকে যেমন সমৃদ্ধ করে তেমনিভাবে বিভিন্ন পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন করতে সহায়তা করে, যা সামুদ্রিক মাছের ভবিষ্যত আবাদকে সম্ভব করে তুলে।
অতিরিক্ত মাছ ধরা বা আহরণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় সংরক্ষিত এলাকা সৃষ্টি বা প্রতিষ্ঠা করা। একটি হিসাবে দেখানো হয়েছে যে, সামুদ্রিক সংরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমুদ্রের ২০ থেকে ৩০% এলাকা সংরক্ষণ করা হলে কোটি কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, মাছের জনসংখ্যা, আকার এবং বায়োমাস নাটকীয়ভাবে সংরক্ষিত এলাকাগুলোতে বৃদ্ধি পায় এবং এসব বর্ধিত মাছগুলো সংরক্ষিত এলাকার বাইরের বিচরণক্ষেত্রে বিচরণ করতে পারে। স্থায়িত্বশীল ও পরিবেশসম্মতভাবে মাছ ধরা বা আহরণের ক্ষেত্রে একটি ভালো উদাহরণ হচ্ছে Marine Stewardship Council-এর Blue eco-label। এই প্রক্রিয়াটি ‘পরিবেশসম্মত উপায়ে সামুদ্রিক খাদ্য’ নির্বাচন ও সংগ্রহের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এই ঊপড়-ষধনবষ মাছ ভোক্তাদের কাছে মাছ আহরণের ক্ষেত্রে যাতে মাছের উৎসগুলোকে পরিবেশসম্মত ও দায়িত্বপূর্ণ উপায়ে দেখা ও বিবেচনা করা হয় এমন নির্দেশনা দেয়।
বন ব্যবস্থাপনা
কাঠ উৎপাদন বনের সবচে’ প্রধান কাজের মধ্যে একটি হিসেবে এতদিন বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে স¤প্রতি এ ধারণাটি একটি বহুমূখী এবং নিয়ন্ত্রিত দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে অনুধাবন করা হয়েছে যে, মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখে এমন পণ্য ও সেবাসমূহের মূল উৎস হচ্ছে বনের বৈচিত্র্য। বন থেকে মানুষের খাদ্যসহ ঔষুধ, সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক বিভিন্ন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য অনেক উপাদান ও উপকরণ পায়। এছাড়া মানুষ বন থেকে ঘরবাড়ি নির্মাণের উপকরণ ও জ্বালানি পায়। বন সুপেয় পানি সংরক্ষণ ও বিশুদ্ধ করে, পানি প্রবাহকে রক্ষা করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রশমন করে, মাটির ক্ষয়রোধ করে, মাটির পুষ্টি প্রদান করে, কার্বনের মজুদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পৃথিবীতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির জন্য অনুকূল পরিবেশ ও আধার তৈরি করে। অন্যদিকে জাতীয় ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে; প্রত্যক্ষভাবে বলা যায় বিভিন্ন আয়ের মাধ্যমে, মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কিংবা বন খাত কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে। অন্যদিকে পরোক্ষভাবে বলা যায়, বন থেকে সেবা বিশেষ করে কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে পানি সরবারাহের মাধ্যমে বন অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। স্থায়িত্বশীল বন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে যে, বন সংক্রান্ত যেসব চর্চা বিদ্যমান সেগুলো বনের চারদিক পরিস্থিতির সাথে আপোষ করে না, যা বনজ সম্পদকে হ্রাস বা বন ধ্বংস করতে পারে। দেখা গেছে যে, বনের স্থায়িত্বশীল ব্যবস্থার বিকল্প কৌশলগুলো কাঠ ও কাঠবর্হিভূত বন সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। উদহারণ হিসেবে বলা যায় যে, Reduced Impact Logging (RIL) চর্চা কাঠের অপচয়, প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংসসহ অবশিষ্ট গাছ ও মাটির ক্ষয়রোধ করে। অন্যদিকে বন ও বন থেকে প্রাপ্ত সেবাসমূহের স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ ও অর্ন্তভুক্তি নিশ্চিত করা উচিত।
পর্যটন
বিশ্বের স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। তাই বর্তমানে পর্যটন খাত একটি অন্যতম গতিশীল অর্থনৈতিক খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং অনেকগুলো উন্নয়নশীল দেশ স¤প্রতি পর্যটন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে ধীরে ধীরে তাদের শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। নারীদের জন্য পর্যটন খাত আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি কমংসংস্থানের উৎস; কেননা বৈশ্বিক পর্যটন খাতে মোট জনশক্তির ৪৬% হচ্ছে নারী। অন্যদিকে পর্যটন শিল্পের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য; বিশেষ করে জাতীয় পার্ক, উপকূলীয় এলাকা, পাহাড়, পর্বত, বন এবং অন্যান্য প্রতিবেশ এলাকা হচ্ছে পর্যটকদের প্রিয় আকর্ষণীয় স্থান। বিশ্বের যেসব উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে ব্রাজিল, পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মেক্সিকো প্রাণবৈচিত্র্যের দিক থেকে সমৃদ্ধ; সেসব দেশগুলো পর্যটকদের আকর্ষণীয় এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে এবং ওই দেশগুলোর প্রাণবৈচিত্র্যসমৃদ্ধ আকর্ষণীয় স্থান দেখার জন্য বছরে অনেক পর্যটক সেখানে ভিড় জমান। আর এই কারণে বিশ্বে স¤প্রতি একটি নতুন নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করা হয়েছে যেখানে বন সংলগ্ন বা বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে পর্যটন শিল্পের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। এই সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীগুলো পর্যটন শিল্পের অর্থনৈতিক সুফলতা লাভ করতে সমর্থ হবে এবং তাদের সংরক্ষণ উদ্যোগগুলোকে আরও প্রাণবন্ত ও গতিশীল করবে। ইকো-টুরিজ্যম তাই পর্যটন শিল্পের একটি ক্রমবর্ধমান উপ-খাতে পরিণত হচ্ছে এবং এটি গ্রামীণ মানুষের জন্য একটি আকর্ষণীয় জীবিকা পদ্ধতি হিসেবে গড়ে উঠেছে।
তাই স্থায়িত্বশীল পর্যটন ব্যবস্থাপনা, যা প্রাণবৈচিত্র্য ও স্থানীয় মানুষের জীবিকাকে বিবেচনা করে সেটি প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং স্থানীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে, পর্যটন খাত আয়ের অন্যতম উৎস এবং সংরক্ষিত এলাকাসহ ওই এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে। তাই যেসব পাবলিক নীতিমালা ও প্রশাসনিক বিধিবিধান স্থানীয় ও এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষকে অর্ন্তভুক্ত করে সেটি বিদ্যমান পর্যটন খাতগুলোকে প্রাণবৈচিত্র্যবান্ধব, পর্যটন শিল্প থেকে স্থানীয় মানুষের অর্থনৈতিক সুফলতা নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় প্রাণবৈচিত্র্যভিত্তিক পর্যটন খাতকে সহায়তা ও উদ্দীপ্ত করতে সহায়তা করতে পারে।