এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন নারীরা
মানিকগঞ্জ থেকে ঋতু রবি দাস
সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য, তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এবং উদ্দ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। যুব উন্নয়ন থেকে তারা হাঁস-মুরগি পালনের প্রশিক্ষণ, সেলাই, ক্রোকারিজ, ড্রাইভিং, মহিলা সংস্থা থেকে কম্পিউটার ট্রেইনিং, ব্লক বাটিকের কাজ, সমাজসেবা থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ ইত্যাদি পেয়ে থাকেন।
এমনই আর একটি প্রকল্প আসছে গত ২০২৩ সেপ্টেম্বর মাসে, প্রকল্পের নাম “হার পাওয়ার” প্রকল্প। এই প্রকল্প শুধুমাত্র নারীদের জন্য। এই প্রকল্পে মোট ৬টি ক্যাটাগরি আছে। ন্যূনতম এসএসি পাশ করে আবেদন করতে হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কল সেন্টার এজেন্সি ইত্যাদি। এই প্রকল্পের মেয়াদ হলো ৫ মাস এবং প্রশিক্ষণ শেষে একমাস ইন্টার্নশিপের কথা উল্লেখ্য আছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকেই একটি করে ল্যাপটপ, সনদ এবং যাতায়াত ভাতা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে মূলত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
‘বারসিক’ যেহেতু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করে সেহেতু কর্ম এলাকার শিক্ষার্থীদের এই তথ্যটা পৌঁছে দেওয়া হয়। ‘বারসিক’ অফিসে মোট ১১জন শিক্ষার্থী আসেন এবং তাদের আবেদন এর প্রক্রিয়াতে সহযোগিতা করা হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তাদের আবেদন করে দেওয়া হয়।
তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং। পূর্ণিমা রবি দাস গ্রাফিক্স ডিজাইনে আবেদন করেন এবং চূড়ান্ত হোন। তিনি খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান ডিগ্রি কলেজের বি.এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ডিসেম্বরে তিনি একটি ল্যাপটপ পান। এতে তিনি অনেক খুশি হোন। তিনি মনোযোগসহকারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পূর্ণিমা টিউশনি করে নিজের এবং তার দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ চালান। তার বাবা জুতার কাজ করেন। তার পক্ষে ল্যাপটপ কেনা সম্ভব ছিলো না। তিনি এই প্রশিক্ষণের জন্য আলাদাভাবে কম্পিউটার শিখছেন। কারণ তিনি কম্পিউটার ব্যবহার জানতেন না। তিনি বলেন, ‘এই ল্যাপটপ আমার জন্য অনেক কাজে লাগবে, আমি যেই প্রশিক্ষণটা নিচ্ছি সেটা শিখলে আমি অনেক কাজ করতে পারব।’ তিনি ‘বারসিক’কে ধন্যবাদ জানান, তাকে এই প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করার জন্য।