কৃষকের কাছে পরাজিত পৌষের শীত
মিজানুর রহমান, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
গত তিনদিন ধরে হঠাৎ করেই বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলার মানুষ সকালে দেরি করে খুলছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধ্যা হলে আগেভাগেই দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবেন তাদের স্থবিরতা নেই। হাড়ভাঙা শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোর থেকে মাঠে নেমেছেন গ্রামবাংলার প্রকৃত শিল্পী কৃষকরা। শীত সবসময় তাদের কাছেই যেন পরাস্ত!
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ভোরবেলায় প্রচন্ড কুয়াশার মধ্যেও ফসল বুনতে কৃষকেরা দলবেঁধে মাঠে কাজ করছেন।
তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, “শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমরা এসময়ে বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না কারো।”আর কৃষক আলামিন হোসেন বলেন, “আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমাদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা। মাঠের পর মাঠ ফসল না বুনলে মানুষ খাবে কি।”
গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলার কালনা এলাকায় ঘাড়ে কোঁদাল নিয়ে মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন দুই কৃষক। পথে কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা প্রতিবেদককে বলেন, ম“নে হচ্ছে এখনই মাঘের শীত শুরু হয়ে গেছে। বিকেল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতেও টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশা বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।”