একটি চড়ুই পাখি রক্ষায় সৌরভ হাবিবের অভিনব উদ্যোগ!
রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম
সকালেই ঘুম ভাঙ্গে। তখন বেলা দেখা দেখা ভাব। সূর্যের আভা চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে। ঘুমের ঘোরেই চড়ুই পাখির চিৎকার আর চেচামেচি শুনলাম। সব সময়ই চেচামেচি দেখি। কিন্তু আজকে কেন যেন সেই আওয়াজে বিশেষ আবেদন অনুভব করলাম। অন্য সময়ের থেকে তা অনেক বেশি আবেদনময়। জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখি আমার বাসার পাশেই একটি বিদুৎতের লাইনের সাথে একটি চড়ুই পাখির পা আটকে গেছে।
তাকে উদ্বারের জন্যে অন্যসব চড়ুই পাখি চিৎকার চেচামেচি আর আবেদন করছে। পাখিগুলো আটকানো চড়ুই পাখির আশপাশে শুধু উড়ো উড়ি করছে। আর আটকে পড়া পাখিটাকে রক্ষায় চেষ্টা করছে। আমি নিজে কাছে গিয়ে অনেক চেষ্টা করলাম পাখিটিকে রক্ষার জন্যে। কিন্তু বিদ্যুৎ খুটি আর লাইন হওয়ায় তা পেলাম না। মনে মনে চিন্তা করছি। এভাবেই কি চড়ুই পাখিটির জীবন চলে যাবে?
আচ্ছা যদি এটি একটি মানুষ হতো তাহলে কতো মানুষ আসতো তাকে রক্ষা করার জন্যে। অথচ মানুষ পাশ দিয়ে শুধু দেখে দেখেই চালে যাচ্ছে। আমি আর নিজেকে আটকে রেখে পারলাম না। চড়ুই পাখিটারে রক্ষা করতেই হবে। অবশেষে নিজে যখন আর কুলিয়ে উঠতে পারলাম না তখন রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলাম। তাদেরকে খুলেই বললাম যে একটি চড়ুই পাখি আটকা পড়েছে বিদ্যুৎ লাইনে। সেটিকে রক্ষার জন্যে ফোন দিলাম। তখন সকাল প্রায় ১০টা বেজে গেছে। কিছুক্ষণ পরেই ফায়ার সার্ভিসের পুরো বহর এসে হাজির। তাদের চেষ্টা আর পরিশ্রমে পাখিটি রক্ষা পেলো।
জীবন্ত ও বাস্তব এই গল্পটির স্রষ্টা রাজশাহীর সাংবাদিক, দৈনিক সমকাল পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও ডিবিসি টিভির প্রতিনিধি সৌরভ হাবিবের। সকল প্রাণের প্রতি সমভাবে ভালোবাসা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক সেই কামনাই সৌরভ হাবিবের।
গতকাল রাজশাহী নগরীর আলুপট্রির বাসার পাশেই তার এই মহান উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। পৃথিবীর সকল মানুষ সকল প্রাণের সুরক্ষায় ভূমিকা পালন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।