প্রায়োগিক কৃষি গবেষণার অগ্রগতি কৃষিতে বাড়ায় শক্তি
মানিকগঞ্জ থেকে মো. মাসদুর রহমান
জেলা কৃষি উন্নয়ন কমিটি ও কৃষক গবেষক দলের উদ্যোগে গতকাল স্যাক মিলনায়তনে করম আলী মাষ্টারের সভাপতিত্বে এবং জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মার্কেটিং অফিসার মো. ইদ্রিস আলীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়ের কর্মএলাকার চলমান কার্যক্রম উপস্থাপনের সূত্র ধরে জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মার্কেটিং অফিসার বলেন, ‘খাদ্যের বিষক্রিয়ায় জনস্বাস্থ্য আজ হুমকির সম্মুখীন, উপায় একটাই বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন। তাই নিরাপদ খাদ্য বিপননে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে আমি আপনাদেরকে সহযোগিতা করতে চাই।’
অংশগ্রহণকারীদের খরিপ-২ মৌসুমের কাজের অগ্রগতি বিশ্লেষণে জনা যায়, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৫টি অর্জিত হয়েছে ৬৫টি, নার্সারি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬টি অর্জিত হয়েছে ৪টি, জৈব কৃষি সমৃদ্ধ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭টি অর্জিত হয়েছে ১১টি এবং কবুতর পালনে সক্ষম হয়েছে ১১টি পরিবার। এছাড়া চলতি মৌসুমে ২ জন কৃষক তাদের নিজস্ব জমিতে ৫টি জাত নিয়ে এলাকা উপযোগি জাত বাছাই কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং ১০ জন কৃষক গলাছিলা জাতের মুরগির জাত উন্নয়নে কাজ আরম্ভ করবেন।
সভায় কৃষক গবেষকদল বিষমুক্ত নিরাপদ সবজী উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। আসন্ন রবি মৌসুমে ২২ জন কৃষক গবেষকগণ ৪০ প্রকার শীতকালীন শাক সবজি ও স্থানীয় জাতের মসলা উৎপাদন করবেন এবং জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় হরিরামপুর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ২টি জৈব কর্ণার স্থাপন করবেন। সবশেষে আগামী ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা হরিরামপুরের চরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘটে।