চর এলাকায় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নারীদের উদ্যোগ
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে মুকতার হোসেন
বিশ্বের করোনা মহামারী স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততা স্তব্ধ করে দিয়েছে। স্ব স্ব এলাকা বা নিজ গৃহে অবস্থান করেই সবাইকে দিনযাপন করতে হচ্ছে। আমরা হরিরামপুর উপজেলা চরাঞ্চলে অবস্থিত ৩টি ইউনিয়নের জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগান চাহিদা তাদের নিজ এলাকায় থেকেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। করোনাকালীন এই দুর্যোগের সময়ে খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখছেন চরের নারীরা। পুরুষরা মাঠে ঘাটে কাজ করলে তাঁরা বাড়িতে কোনসময় বসে থাকেন না। বাড়ির আশে পতিত জমিতে আলানপালানে শাকসবজি চাষ, মাঠে থেকে ফসল আনা, মাড়াই কাজে সহযোগিতা, শস্য সংগ্রহ, বীজ সংরক্ষণ থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে সহযোগিতা রয়েছে চরের নারীদের।
এই প্রসঙ্গে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জহিুরুল হক জানান, চরাঞ্চলে প্রতিবছর বন্যা হয়, মাটিতে পলি পড়ে জমির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই চরে বৈচিত্র্যময় ফসল চাষে চরের কৃষকরা সাফল্য অর্জন করেছেন। করোনাকালীন সময়ে তাদের বাইরে থেকে খাদ্য যোগানের প্রয়োজন হচ্ছে না। চরাবাসীরা তাদের নিজেদের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্তগুলো বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারেন।’
এই চরবাসীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হরিরামপুর উপজেলার সকল পেশার মানুষ ভোগ করতে পারছেন। বিশেষ করে চরের নারীরা সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারা কখনও চরে গরু ছাগল, হাঁস মুরগি পালন করছেন,দেখাশোনা করছেন, কখনও কৃষিকাজে অংশগ্রহণ করছেন কখনোবা গৃহস্থালি কাজে দিনমান ব্যস্ত থাকেন। চর এলাকায় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তাঁরা পুরুষের পাশাপাশি নিরবে ভূমিকা পালন করেছেন।
অন্যদিকে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকের ফসল উৎপাদনে সার্বক্ষণিক গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। কৃষকদে পাশে থেকে তাঁরা সবসময় পরামর্শ, কারিগরি সহায়তা, কৃষি প্রর্দশনী, বীজ, কৃষি প্রণোদনাসহ সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা বারসিক চরাঞ্চলে বৈচিত্র্যময় ফসল চাষ, দুর্যোগ মোকাবেলায় আউশ ধান চাষ, কৃষক নেতৃত্বে মসলা, ডাল জাতীয় ফসলের গবেষণা কার্যক্রম সহায়তা প্রদান করে আসছে। এসব সহযোগিতা পেয়ে কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন।